স্টেডিয়াম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী বাকী বলেন, চার বছর আগে এটি ভেঙে নতুন মার্কেট করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী নকশাও হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর এগোয়নি।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরের পূর্বপাড়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত মসজিদ মার্কেট। দ্বিতল মার্কেটটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দোতলায় হাঁটলে মার্কেট নড়েচড়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, নতুনভাবে নির্মাণের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দিচ্ছে না। যে কোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। তারা এটি নতুনভাবে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, ১৯৭৩ সালের দিকে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয় বাড়ানোর জন্য। ফাউন্ডেশন ব্যতীত সাদামাটা দোতলা ভবনটি প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে ২৪ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। দোতলার পশ্চিম পাশে মসজিদ রয়েছে। সেখানে পুরো মার্কেটের ব্যবসায়ী, স্টাফ ও ক্রেতাসহ দুই শতাধিক মানুষ নামাজ পড়েন। যে কারণে এই মার্কেটের ওপর মানুষের চাপ রয়েছে। এটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। মাঠের নিয়মিত দর্শক বাহারুল আলম সোহাগ বলেন, মার্কেটটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় দেখছি। এটি দ্রুত না সরালে ভেঙে পড়তে পারে। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দর্শকরা আহত হতে পারেন। এ ছাড়া এমন শ্রীহীন মার্কেট ভবন কুমিল্লা স্টেডিয়ামের আভিজাত্যের সঙ্গে যায় না।
স্টেডিয়াম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী বাকী বলেন, চার বছর আগে এটি ভেঙে নতুন মার্কেট করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী নকশাও হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর এগোয়নি। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি এস এম জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছি। কখন না এটি ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন সময় পলেস্তারা খসে ব্যবসায়ীদের মাথায় পড়েছে। বিভিন্ন সময় এখানে নতুন ভবন করার দাবি জানালেও সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
কুমিল্লা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু বলেন, মার্কেটটি প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। এটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির মিটিংয়ে কথা বলব। এটি গণপূর্তকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।