সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খুলনা নগরীতে প্রতিনিয়ত কমছে উন্মুক্ত জলাশয় পুকুর দিঘি। গত তিন দশকে হারিয়ে গেছে শতাধিক পুকুর দিঘি। সেখানে ভরাট হয়ে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও ভরাট আটকাতে পারছে না পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে পানি নিষ্কাশনে জায়গা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
জানা যায়, সিটি কলেজের সামনে অনন্ত মল্লিকের পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠেছে হোটেল রয়্যাল। একই স্থানে রোতোবের পুকুর ভরাট করে হয় হোটেল ক্যাসল সালাম। নগরীর স্যার ইকবাল রোডে গোলকমনি পুকুর ভরাট করে গোলকমনি পার্ক, ফেরিঘাটে জলাশয় ভরাট করে ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড, মরিয়মপাড়া পুকুর ভরাট করে কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কমপক্ষে ২৫টি পুকুর ভরাট করে শিববাড়ি থেকে রয়্যাল মোড় পর্যন্ত কেডিএ এভিনিউ রোড নির্মাণ হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, খুলনা নগরীতে ৮০টি পয়েন্টে শতাধিক পুকুর-দিঘি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে কয়টি পুকুর অবশিষ্ট রয়েছে তার সঠিক তালিকা নেই সিটি করপোরেশনের হাতে। তবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জরিপ অনুযায়ী নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৭১টি পুকুরের অস্তিত্ব রয়েছে। অনেক স্থানে পুকুরের মধ্যে ফেলা হয় আবর্জনা। অযত্নে কচুরিপানা ভরে সেখানে মশার উৎপাদন হচ্ছে। ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বাড়ছে।
কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল জব্বার বলেন, নগরীর বাস্তুহারা, খালিশপুর, সোনাডাঙ্গা গল্লামারী, মহেশ্বরপাশা, সোনাডাঙ্গা, বানরগাতি রূপসা এলাকায় ১৮টি পুকুর সংস্কার সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব জলাশয় একসঙ্গে সংরক্ষণ সম্ভব নয়। নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহমেদ বলেন, কোথাও পুকুর ভরাটের খবর পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিই। তবে বাস্তবে দখল-অবহেলার কারণে পুকুর হারিয়ে যাচ্ছে।