মা ইলিশ রক্ষায় ৩ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মার ৮০ কিলোমিটার অংশে চলছে ইলিশ শিকারের ‘উৎসব’। বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজার বসিয়ে অবাধে চলছে ইলিশ বেচাকেনা। দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের পরিদর্শক ত্রিনাথ সাহা বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের সঙ্গে কেউ কোনো সমন্বয় করেনি। পদ্মা নদীতে গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর অংশ ৮০ কিলোমিটার। প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে। অভিযান চলছে। যে স্থানে ইলিশ শিকার করা হচ্ছে দ্রুত সেখানে অভিযান চালানো হবে।
গতকাল সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পিয়াল আলী মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে কয়েক শ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় মাছ ধরেছেন জেলেরা। সেখানেই উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। জেলেদের খাবারের জন্য বসেছে অস্থায়ী দোকান। ভাতের সঙ্গে রান্না হচ্ছে পদ্মার ইলিশ।
বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, প্রতিবছর এই এলাকায় ইলিশ শিকার করা হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের ঝুঁকি রয়েছে। তবে এ বছর ইলিশ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রশাসন ও পুলিশ এই অঞ্চলে কেন অভিযান পরিচালনা করেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমাদের কয়েকজন বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি ম্যানেজ করবেন। তবে আপনারা আসার পর নিউজ করলে ঝামেলা হবে।
আজগর আলী ও প্রশান্ত হালদার নামে দুই জেলে বলেন, আমাদের চাল দেওয়া হয়নি। আমরা নদীভাঙন এলাকার মানুষ। তাই ঝুঁকি নিয়ে ইলিশ শিকার করি।