মেজর লিগ সকারের ম্যাচটিতে আটলান্টা ইউনাটেডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। দলের প্রথম ও শেষ গোলটি করেন লিওনেল মেসি। ২৬ গোল নিয়ে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে নিজেরে অবস্থান আরও পোক্ত করলেন মায়ামি অধিনায়ক।
মাঝের দুটি গোল করেন মেসি সাবেক দুই বার্সেলোনা সতীর্থ জর্দি আলবা ও লুইস সুয়ারেস। আলবার গোলটি আসে মেসির অসাধারণ এক ছোঁয়া থেকে। লিগে গোলের তালিকায় যেমন শীর্ষে মেসি, তেমনি অ্যাসিস্টের তালিকায়ও এখন যৌথভাবে শীর্ষে তিনি (১৮টি)।
এই ম্যাচের তিন পয়েন্টে ইস্টার্ন কনফারেন্সে অন্তত তৃতীয় স্থানে থাকা নিশ্চিত করল মায়ামি। প্লে-অফে ঘরের মাঠে খেলতে পারবে তারা। দুই নম্বরে ওঠার সুযোগও তাদের সামনে আছে। মায়ামির সমান ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিনসিনাটি।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে মায়ামির প্রথম সুযোগ আসে ২০তম মিনিটে। অবিশ্বাস্যভাবে তা কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে দারুণভাবে উঁচু বল বড়ান সের্হিও বুসকেতস। বক্সের ভেতর মেসি বুক দিয়ে বল নামান। গোলকিপার ছাড়া আর কেউ নেই তখন সামনে। তবে তার শট চমৎকারভাবে ফিরিয়ে দেন আটলান্টা গোলকিপার।
৩১তম মিনিটে আবার সুযোগ পেয়ে কাছ থেকেও বাইরে মারেন মেসি। সেসব ভুল তিনি পুষিয়ে দেন ৩৯তম মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে। আর্জেন্টিনার বালতাসার রদ্রিগেসের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের একটু ভেতরে ঢুকে প্রকিপক্ষের দুইজনের মাঝ দিয়ে দারুণ বাঁকানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। গোলকিপারের কিছু করার ছিল না। ৪২তম মিনিটে আবার কাছ থেকে নেওয়া মেসির শট ফিরিয়ে দেন গোলকিপার। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসির পাস থেকে লুইস সুয়ারেসের ভলি গোলবারে লেগে চলে যায় বাইরে।
৫২তম মিনিটে জাদুর ঝলক দেখান মেসি। নিজেদের অর্ধের অনেকটা ভেতর থেকেই অসাধারণ এক লম্বা বল বাড়ান। দারুণ গতিতে ছুটে সেই বল রিসিভ করতেও হয়নি আলবাকে। আটলান্টার বক্সের ভেতরে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের ওপর দিয়ে আলতো লব করে তিনি বল পাঠিয়ে দেন জালে। ম্যাচের সেরা গোলটি আসে মিনিট আটেক পর। ফাফা পিকুঁর শট আটলান্টার এক ডিফেন্ডার হেড করে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। উড়ে আসা সেই বলে বক্সের মুখ থেকে নান্দনিক ভলিতে গোলকিপারকে অসহায় বানিয়ে গোলের ঠিকানা খুঁজে নেন সুয়ারেস।
৬৩তম মিনিটে অল্পের জন্য নিজের দ্বিতীয় গোল পাননি সুয়ারেস। ৮৫তম মিনিটে পিকুঁর শট ডাইভ দিয়ে রক্ষা করেন আটলান্টা গোলকিপার। ৮৭তম মিনিটে মেসিকে ফিরতি উপহার দেন আলবা। লম্বা করে উঁচু বল বাড়ান এই লেফট ব্যাক। বক্সের ভেতর বুক দিয়ে বল নামিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ শেষ করেন মেসি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ