চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে চলছে জোর প্রস্তুতি। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে ভোটারদের চাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দিতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটারদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। তিনি বলেন, একজন ভোটারের ৪০টি ভোট দিতে আনুমানিক ১০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। ভোটাররা যত সময় প্রয়োজন মনে করবেন, তত সময় নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।’ তিনি জানান, নির্বাচনের ব্যালট পেপার হবে পাঁচ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে হল ও হোস্টেল সংসদের জন্য এক পৃষ্ঠা এবং কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য চার পৃষ্ঠা থাকবে। ব্যালটে প্রথমে প্রার্থীর নাম, তারপর পদবি, ব্যালট নম্বর এবং শেষে থাকবে একটি খালি বৃত্ত, যেখানে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর জন্য বৃত্ত পূরণ করবেন।
অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। এজন্যই ভর্তি পরীক্ষা বা অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এদিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচনের সময় ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্দেহভাজন কাউকে তল্লাশি করতে পারবে। এজন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বক্ষণিকভাবে নিজ নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড বা ব্যাংক রসিদ) সঙ্গে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১ ও সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।