টেস্ট স্ট্যাটাস বা মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর আজ। ২০০০ সালের ২৬ জুন, এই দিনে আইসিসি বাংলাদেশকে ১০ নম্বর টেস্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা দেয়। যদিও বাংলাদেশ অভিষেক টেস্ট খেলে আরও পরে, ওই বছরের নভেম্বরে। এরপর গত ২৫ বছরে দেড় শর ওপর টেস্ট খেলেছে। টেস্ট মর্যাদার পঁচিশ বছর পেরোলেও বিসিবি কখনো কোনো উৎসব পালন করেনি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে নিজেকে চিরস্থায়ী করেছেন ইতিহাসের পাতায়। দেশের ক্রিকেটের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর এ প্রথম টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির অনুষ্ঠান উদযাপন করছে বিসিবি।
২৫ বছর বা রজতজয়ন্তী পালনে বিসিবি পুরো দেশব্যাপী এক সপ্তাহের ব্যস্ত সূচি উদ্যাপন করছে। গতকাল ধানমন্ডি রিয়া গোপ ওমেন্স কমপ্লেক্সে টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির অনুষ্ঠান করেছে। সেখানে বিসিবি সভাপতি বুলবুল জানিয়েছেন সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণ, ‘আশা করেছিলাম, ২৫ বছরে হয়তো ২৫টা আয়োজন হবে। ২৫তম বছরে এসে প্রথম করছি। দুটি কারণে করেছি- প্রথমত, টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদ্যাপন। আরেকটা হলো, দেশব্যাপী বহু জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একটা ‘ওয়েক আপ’ কল দেওয়া। এটা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে করার চেষ্টা করছি।’
ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে বুলবুল ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। দেশের অভিষেক টেস্টের সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন বিসিবি সভাপতি, ‘টেস্ট ক্রিকেট বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পরিচয়। টেস্ট খেলে বলেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশ। এটা যেন আরও ফোকাস করতে পারি। ফারুক (আহমেদ) ভাই, আতাহার (আলি খান) ভাই, (মিনহাজুল আবেদিন) নান্নু ভাই ছিলেন। অনেক ক্রিকেটার ছিল, যারা টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। আমরা ওই সময় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতাম যে, প্রথম টেস্টে খেলতে পেরেছিলাম।’
অভিষেক টেস্টে বুলবুল ছাড়াও ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় (অধিনায়ক), আকরাম খান, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, মেহরাব হোসেন অপি, হাবিবুল বাশার সুমন, আল শাহরিয়ার রোকন, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিক, বিকাশ রঞ্জন দাস ও হাসিবুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন রাজিন ও মঞ্জুরুল ইসলাম। মিরপুর স্টেডিয়ামে আজ বিকাল ৪টায় অভিষেক টেস্টের ক্রিকেটারদের নিয়ে রজতজয়ন্তীর আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে বিসিবি। সেই স্কোয়াডের যারা এখন অ্যাভেইলেবেল আছেন, তাদের দাওয়াত দিয়েছে বিসিবি। অভিষেক টেস্ট ক্রিকেটাররা অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে কেক কাটবেন। এরপর ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের বিশেষ ব্লেজার পরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ছোট্ট পরিসরের আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার।