ক্যারিবীয়ানে টি-২০-এর পর ওয়ানডে সিরিজেও জয়ের সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে। কিন্তু এবার ঘটল উল্টোটা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নবাগত ব্যাটার হাসান নাওয়াজের চমৎকার ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাকিস্তান নাটকীয় জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় সফরকারী দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ দিকে চমৎকার ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও ১-১ সমতার পর শেষ ম্যাচ জিতে পাকিস্তান সিরিজ নিশ্চিত করে। এবার শেষ ওয়ানতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল স্বাগতিকরা। ক্যারিবীয়ানদের ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৯২ রানে অল আউট হয়। জয় ২০২ রানে। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় ও চতুর্থবারের মতো ২ শতাধিক রানের ব্যবধানে জয়। অধিনায়ক শাই হোপের ১২০ রানের ইনিংসই দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় করেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি। ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে স্বাগতিকরা। ব্যাট করতে নেমে ৯ রানে চার উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর আজম ৯ রান করলেও বাকি তিনজন রানশূন্য। প্রথম চার শিকার করেন পেসার জেডেন সিলস। ১৮ রানে নেন ৬ উইকেট। ক্যারিবীয় দশম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ইনিংসে ৬ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে সালমান ৩০ ও নাওয়াজ ২৩ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ২৯৪/৬
(লুইস ৩৭, হোপ ১২০*, চেইস ৩৬, গ্রেভস ৪৩*; নাসিম ১০-০-৭২-২, আবরার ৯-১-৩৪-২, সাইম ৮-০-৩৬-১, সাইম ৯-০-৬০-১)
পাকিস্তান : ২৯.২ ওভারে ৯২
(সালমান ৩০, হাসান নাওয়াজ ১৩, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ২৩*; সিলস ৭.২-০-১৮-৬, মোটি ৭-০-৩৭-২, চেইস ৬-১-১৬-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২ রানে জয়ী
সিরিজ : ২-১ ব্যবধানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ