সাদাপাথর লুটপাট তদন্তে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৯ সদস্যের একটি দল। গতকাল দুপুরে তারা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় যান। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক সিলেট অফিসের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত। এদিকে সাদাপাথর লুট সম্পন্নের পর টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের। অবশেষে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তারা। আগামী রবিবার কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ।
সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাত বলেন, যাদের যোগসাজশে নির্বিচারে পাথর লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ধরনের লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি। পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ দুদক ধারণা করছে, সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাটের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
তবে সাদাপাথর লুটে প্রশাসনের কোনো গাফিলতি ছিল না দাবি করেন জেলা প্রশাসক। তিনি জানান, সাদাপাথরে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সাদাপাথরের বৃহৎ এলাকার একটি অংশের পাথর লুট হলেও বাকি অংশ ঠিক রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জানা যায়, সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সাদাপাথর। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জস্থ এ পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সাদাপাথর লুট শুরু হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন নীরব ছিল।