রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ভোটকেন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
তাদের অন্য দাবি, ভোট ও প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে সাইবার বুলিং বন্ধ করা এবং খসড়া ভোটার তালিকা হতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নাম বাতিল করা।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, প্রশাসন আবাসিক হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ শুরু থেকেই আমরা অ্যাকাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানিয়ে আসছি। বহুবার এ নিয়ে দাবি জানানোর পরও তারা কর্ণপাত করছে না। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চলবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য অথচ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা কর্ণপাত করছে না। তাহলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে? কয়েক দফা দাবি জানিয়েছি কিন্তু তারা কর্ণপাত করছে না। তাহলে কাদের খুশি করতে এই নির্বাচন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাইছার আহমেদ বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে সাইবার বুলিং হচ্ছে। সেজন্য অনেকে প্রার্থী হতে আগ্রহী নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে মেয়েরা। অথচ প্রশাসনের এ বিষয় কোন উদ্যোগ নেই। খসড়া ভোটার তালিকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অনেকের নাম এসেছে। অবিলম্বে সেগুলো বাতিল তরতে হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে অনেক পদ প্রত্যাশী প্রচার প্রচারণা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত