ইসরায়েল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের বিশ্বের দরিদ্রতম (মাথাপিছু জিডিপির উপর ভিত্তি করে) দেশ দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে বার্তাসংস্থা এপি। বলা হয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ইতোমধ্যে এই বিষয়ে দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে টানা ২২ মাসের সামরিক অভিযানে অঞ্চলটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এরপরই ইসরায়েল একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা থেকে ব্যাপক অভিবাসন ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগী হয়েছে।
পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত ছয়টি সূত্র এপিকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের আলোচনা চলছে। তবে আলোচনার অগ্রগতি কতদূর হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এক যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে অন্য আরেকটি সংকটাপন্ন অঞ্চলে লোক পাঠানো হবে, যা মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েল এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। সম্প্রতি ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল আই-২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ আইনের অধীনে জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং তারপর শত্রুর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করাই সঠিক কৌশল। যদিও তিনি সেখানে দক্ষিণ সুদানের কথা উল্লেখ করেননি।
এদিকে, ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এপির এ রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে বলেছে যে, এই ধরনের কোনও আলোচনা তাদের নীতির প্রতিফলন নয় এবং তারা তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছে। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে- সত্যিই ফিলিস্তিনিদের বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ দক্ষিণ সুদানে পাঠাতে চায় কিনা ইসরায়েল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ