সারিয়াকান্দি-সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-১ আসনটি উদ্ধারে দ্বিগুণ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে নির্বাচনি মাঠে নেমেছে বিএনপি। বিএনপির এই দুর্গে হানা দিতে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া জেলা শাখার সাবেক আমির অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পক্ষান্তরে বিএনপির প্রার্থীর ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা ড্যাব নেতা ডা. শাহ্ মো. শাহজাহান আলী, মনি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শিল্পপতি মহিদুল ইসলাম রিপন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টিটু ও সোনাতলা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সহসম্পাদক। এ ছাড়া বগুড়া ড্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টা। জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের বগুড়ার সব ক্লিনিক যখন চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করে তখন তার মালিকানাধীন শারমিন ক্লিনিকে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। কঠিন সময়েও সবাইকে সংঘবদ্ধ করে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছি। হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের আন্দোলনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। মনি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শিল্পপতি মহিদুল ইসলাম রিপন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি এই অঞ্চলের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে নদী ভাঙনকবলিত সারিয়াকান্দি-সোনাতলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।
বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে আমার প্রধান কাজ।
মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছি। ভোটারদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাকে আরও উজ্জীবিত করছে। তিনি এলাকার মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।