বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মশা দিবস পালিত হচ্ছে। মশাবাহিত রোগ আজ এক বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। ডেঙ্গুজ্বর, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ আমাদের পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ।
গ্রী-স্টার গ্রুপ (পাতাবাহার) সব সময় মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আমাদের ব্র্যান্ড ‘পাতাবাহার মশার কয়েল’ দেশের প্রতিটি ঘরে কার্যকর সুরক্ষা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। এ মশা দিবসে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা আরও আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর সমাধান নিয়ে মানুষের পাশে থাকব এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে অবিরাম কাজ করব।
দেশে মশাবাহিত রোগের সার্বিক পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের অনেক প্রাণহানি হবে। মশাবাহিত রোগ মহামারি আকার ধারণ করবে। সচেতনতার অভাবে সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। মশা প্রজননের জন্য জলাবদ্ধতা মূল কারণ। আমাদের দেশের মানুষ জলাবদ্ধতার বিষয়ে ভীষণ উদাসীন এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আমাদের দেশে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ কারণে মশার প্রজনন বেড়ে যাচ্ছে। মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আমি পৃথিবীর অনেক দেশে ঘুরেছি, অনেক দেশেই মশার উপদ্রব দেখতে পেয়েছি কিন্তু বাংলাদেশে তুলনামূলক মশার উপদ্রব একটু বেশি। এর দায় আমাদের সবার এবং আমাদের সচেতনতার অভাবে মশা বংশ বিস্তার করছে। আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের চাহিদা পূরণে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত পণ্যের সরবরাহ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে অনেক পণ্যের প্রয়োজন। মানুষের এ বৃহত্তর চাহিদার একটি অংশ পূরণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদন ও কম দামে সরবরাহ করতে চাই। আমার এ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য বৃহত্তর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। মশাবাহিত রোগে মৃত্যু কমাতে আমাদের মশার প্রজননসহায়ক পরিবেশ ধ্বংস এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা, ড্রেন, পাত্র ও খোলা স্থানে পানি জমতে না দেওয়া, বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়মিত মশা নিধন অভিযান, দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা নেওয়া, সচেতনতামূলক প্রচার চালানো, পরিবেশবান্ধব মশা নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার, ডিজিটাল মনিটরিং ও সতর্কতার ব্যবস্থা করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি মশামুক্ত, সুস্থ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।