আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোমাঞ্চ ছড়ানোর ম্যাচে দুই উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
১৭ চারের পাশাপাশি ১৯টি ছক্কা। হাই স্কোরিং ম্যাচ না হলেও, দুই দলের ব্যাটাররা মিলে মেরেছেন মোট ৩৬টি বাউন্ডারি। এই তাণ্ডবের মাঝেও ৪ ওভারে মাত্র ১টি চার হজম করেছেন শরিফুল ইসলাম। পরে ব্যাট হাতেও তিনি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। প্রায় সাড়ে ৪ বছর ও ৫৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ এই পেসার।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না শরিফুল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে চমৎকার বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তিনি নেন রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট। তার বলে মাত্র ১টি চার মারতে পারে আফগানিস্তান। ডট যায় ১৪টি বল।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার গ্রহণ করে শরিফুল জানান, স্বাভাবিক পরিকল্পনায় থেকেই বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। ব্যাটিংয়ের জন্যও উইকেট খুব ভালো ছিল। অনুশীলনের সময় আমরা স্বাভাবিক কাজগুলো করেছিলাম। ম্যাচেও সেটি করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ সফল হতে পেরেছি।”
দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও ২ চারে ৬ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেছেন শরিফুল। শেষ ওভারে তার বাউন্ডারিতেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর শরিফুল যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, জয় থেকে তখন ১৯ রান দূরে বাংলাদেশ। আর বল বাকি ছিল ১৩টি। স্বীকৃত ব্যাটার ছিলেন শুধু নুরুল হাসান সোহান। দুজন মিলে ৮ বলেই করে ফেলেন বাকি রান।
চাপের সময়ে সোহানের সঙ্গে পরিকল্পনা কী ছিল, সেটিও বললেন শরিফুল। “আমি যখন ব্যাটিংয়ে যাই, সোহান ভাই বলেছিলেন যে সহজে উইকেট দিবি না। আমি বলেছিলাম যে, সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। আর ফুল লেংথে কিছু পেলে মেরে দিবো। এটা ছিল আমার ও সোহান ভাইয়ের পরিকল্পনা।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম