শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৩, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ আপডেট:

তত্ত্বাবধায়ক সরকার না এক-এগারো আনতে চায় বিএনপি

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার না এক-এগারো আনতে চায় বিএনপি

বিজয়ের ৫১ বছর পার করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বিজয় দিবস মানেই আনন্দ, উৎসব। ডিসেম্বরজুড়ে দেশ থাকে উৎসবমুখর। কিন্তু এবার বাঙালির বিজয়ের মাস ছিল অন্যরকম। রাজনৈতিক উত্তেজনা আমাদের বিজয় উৎসবকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে। এর মধ্যে নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে। বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের মধ্যে ছয়জন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।  শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলটি যুগপৎ আন্দোলন করার ঘোষণাও দিয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবিতে একটা বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। ওই দিন বিএনপি গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিল। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির দিন বিএনপি কীভাবে এই কর্মসূচি দিল? পরে অবশ্য বিএনপি তাদের গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করে। কিন্তু এ ঘটনায় বিএনপির গোপন অভিপ্রায়টা বেরিয়ে এসেছে। একটা সহিংস বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। প্রশ্ন হলো- ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কেন সংঘর্ষ করতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও করতে হবে। লাশ ফেলতে হবে। তার মানে কি বিএনপির আন্দোলন নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়? অন্য কাউকে ক্ষমতায় আনার জন্য? বিএনপি কি তাহলে একটি ভাড়াটে রাজনৈতিক দলে পরিণত হলো। যে রাজনৈতিক দল অন্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। শুধু ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিলের তারিখ ঘোষণা নয়। দেশের অন্যতম বিরোধী রাজনৈতিক দলটি কিছু দিন ধরেই অসহিষ্ণু আচরণ করছে। এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে। ঢাকায় মহাসমাবেশের কথাই ধরা যাক। বিএনপি বলল নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেন। ঢাকা শহরে সমাবেশ করার সবচেয়ে ভালো জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আওয়ামী লীগ এখানে বহু সমাবেশ করছে। বিএনপিও করেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও করে। কিন্তু হঠাৎ বিএনপি কেন গোঁ ধরল তা বোঝা গেল না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি গোলাপবাগে যা করেছে, তা তো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা যেত। তাহলে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে এত উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা কেন? ৭ ডিসেম্বর থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেন জড়ো হতে শুরু করলেন। ১৬০ বস্তা চাল, বিপুল পানি দিয়ে বিএনপি কী করতে চেয়েছিল? শেষ পর্যন্ত তো নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করতে পারল না। ৭ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারের কথোপকথনটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধৈর্যহারা করার সব চেষ্টাই বিএনপি মহাসচিব করেছেন। কিন্তু বিপ্লব প্রচণ্ড ধৈর্য, সহনশীলতা এবং বিনয়ের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। ৭ ডিসেম্বরের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এর ফলে বিএনপি পিছু হটল। বিকল্প স্থানে শেষ পর্যন্ত সমাবেশও করল। প্রমাণিত হলো, সরকার বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিএনপির সমাবেশে বাধা দিতে চায়নি। সমাবেশের নামে কোনো জনবিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা যেন সৃষ্টি না হয় সেটি নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি কী অর্জন করতে চেয়েছিল?

এই সমাবেশে সবচেয়ে বড় চমক ছিল বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণা। ১১ ডিসেম্বর ছয় সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বর্তমান সংসদের মেয়াদ আছে মাত্র এক বছর। এ সময়ের মধ্যে মাত্র সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করে আসলে কী বার্তা দিলেন? ২০১৮-এর নির্বাচনের পর বিএনপি প্রথমে বলেছিল, তারা এই সংসদ মানে না। সংসদ সদস্য হিসেবে তারা শপথ নেবেন না। এরপর চুপিসারে গোপন অভিসারে যাওয়ার মতো বিএনপির সংসদ সদস্যরা একে একে শপথ নেন। (শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া)। নারী কোটায় রুমিন ফারহানাকেও মনোনয়ন দেয় বিএনপি। সংসদে কিছু ঝড়ো বক্তৃতা দেওয়া ছাড়া বিএনপির সংসদ সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। মাঠের রাজনীতি আর সংসদীয় রাজনীতির মধ্যে বিস্তর ফারাক। সুধাংশু শেখ হালদার, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শাহ আজিজ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে উজ্জ্বল তারকা ছিলেন। তারা কার্যপ্রণালি বিধি জানতেন, আইন জানতেন, সংসদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে গভীর পড়াশোনা করতেন। রুমিন ফারহানা কিংবা হারুন অর রশীদের মতো চিৎকার করে গালি দিলেই সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন হয় না। গভীরতা লাগে, প্রয়োজন পাণ্ডিত্য। আমার বিবেচনায় বিএনপির সংসদ সদস্যদের খিস্তির চেয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, পীর মিসবাহ অনেক পরিণত এবং সংসদীয় রীতি অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। তাই রুমিন ফারহানাদের সংসদ থেকে পদত্যাগে সংসদে কোনো অপূর্ণতা সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি না। এতে সংসদের কোনো ক্ষতি হবে না।

সংসদ থেকে বিরোধী দল বা অন্য কোনো সংসদ সদস্যের পদত্যাগের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এরপর জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করে বিএনপি। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৮৮ আসনে জয়ী হয়েছিল। মাগুরা এবং মিরপুর উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালের ৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা লিখিত পদত্যাগপত্র বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার কাছে জমা দেন। ২৪ ডিসেম্বর পদত্যাগপত্রগুলো স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু স্পিকার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণে গড়িমসি করেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সার্বভৌম। কিন্তু বিএনপি সংসদের বিষয় নিয়ে যায় হাই কোর্টে। বিএনপির অনুগত ক্যাডারদের কয়েকজনকে সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। (বিএনপি যতবার ক্ষমতায় গেছে ততবার দলীয় ক্যাডারদের বিচারপতি করে গেছে) এদেরই একজন ছিলেন বিচারপতি মনোয়ার উদ্দিন। ১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি মনোয়ার এক নজিরবিহীন রায় দেন। ওই রায়ে সংসদ বর্জনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বিরোধী সদস্যদের সংসদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বের ওপর এটি ছিল সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। বিরোধী দলের পদত্যাগ ঠেকাতে তৎকালীন বিএনপি সরকার এই কূটকৌশল গ্রহণ করেছিল। কারণ জাতীয় সংসদ থেকে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদ অর্থহীন হয়ে যায়। এতগুলো আসনে নির্বাচন অবাস্তব। এবার অবশ্য সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে বিরোধী ছয় সদস্যের পদত্যাগের বিষয়টি ফয়সালা করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে। ফলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়েছে। বিএনপি ’৯৪ সালে বিরোধী সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ ঠেকাতে নানা কূটকৌশল করেছে। আদালতকে পর্যন্ত ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নির্মোহভাবে আইন অনুসরণ করেছে। প্রশ্ন হলো- সংসদে গুরুত্বহীনভাবে থাকা, আলো ছড়াতে না পারা, শুল্কবিহীন গাড়িসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া এই ছয়জন পদত্যাগ করে বিএনপির আন্দোলনের কী লাভ হলো? এটিও বিএনপি অন্যের জন্য করেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ তাদের আন্দোলনকে বেগবান করবে না। কিন্তু এই পদত্যাগ বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা শক্তি দেবে। আমাদের সুশীলরা বলতে পারবে, সংসদে বিএনপির মতো শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। তাদের পরামর্শে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বলবেন, জাতীয় সংসদ অন্তর্ভুক্তিমূলক নয়। অর্থাৎ আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির পটভূমি তৈরির জন্যই কি অসময়ে এই পদত্যাগ নাটক?

বিএনপির আন্দোলন যে অন্য কারও ইশারায় তা বোঝা যায় ১০ ডিসেম্বর ঘোষিত বিএনপির ১০ দফা থেকে। বিএনপির প্রধান দাবি হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন। ১০ দফার মধ্যে প্রথম তিনটি দাবি শুধু নির্বাচন-সংক্রান্ত। এর মধ্যে প্রথম দাবির সঙ্গে আবার চার থেকে ১০ দফা দাবি সাংঘর্ষিক। প্রথম দফায় বলা হয়েছে, ‘বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন, গণতন্ত্র হরণকারী, লুটেরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’ এই দাবি নিয়ে আমার দুটি বিভ্রাট। প্রথমত, সংসদ যদি ‘অনির্বাচিত’ এবং ‘অবৈধ’ হবে তাহলে চার বছর ধরে বিএনপির সংসদ সদস্যরা সেখানে থাকলেন কীভাবে। শুধু থাকলেন না, বেতন-ভাতা নিলেন। রুটি মাখন খেলেন। নানা সুযোগ-সুবিধা খেলেন চেটেপুটে। ‘অনির্বাচিত’ এবং ‘অবৈধ’ সংসদে বিএনপি কীভাবে এত দিন বসবাস করল? দ্বিতীয়ত, আপনি যখন সরকারকে অবৈধ বলবেন, তখন তার কাছে আবার দাবি-দাওয়া পেশ করেন কোন লজ্জায়। ‘অবৈধ সরকারের’ কাছে তো কেউ কিছু চাইতে পারে না। নৈতিকভাবেও এটা চাওয়া উচিত নয়। আইনগতভাবেও এটা সম্ভব নয়। কিন্তু বিএনপি তাদের ভাষায় ‘অবৈধ সরকারের’ কাছে আবদারের এক লম্বা ফিরিস্তি দিয়েছে। যে সরকারকে তারা মানে না, সেই সরকারের কাছেই বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়েছে। বিরোধী নেতা-কর্মী, পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী সব মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল চেয়েছে। অবৈধ সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে বলা হয়েছে ১০ দফায়। বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বলা হয়েছে। ‘অবৈধ সরকারকে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার’ কথাও আছে বিএনপির দাবিনামায়। বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ারবাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার জন্য সরকারকে কমিশন গঠনের কথাও বলা হয়েছে ১০ দফায়। গুম হয়ে যাওয়া মানুষ উদ্ধার, প্রশাসন বিচার বিভাগে পেশাদারিত্বের প্রতিষ্ঠার কথাও আছে তালিকায়। বিএনপির যে দাবিনামা তা বাস্তবায়ন করতে যে কোনো অতি দক্ষ এবং তৎপর একটি সরকারেরও তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। বর্তমান সরকারের এ মেয়াদে সময় আছে মাত্র এক বছর। তাহলে বিএনপি কী চায়, বর্তমান সরকার আরও এক মেয়াদে অর্থাৎ টানা চতুর্থ মেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকুক। আরেকবার সরকার গঠন করে, আওয়ামী লীগ বেগম জিয়াসহ বিভিন্ন কারণে আটকদের মুক্তি দেবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সন্ত্রাস দমন আইন ইত্যাদি বাতিল করবে। বিএনপির ১০ দফা দাবির সাত দফা বাস্তবায়ন করবে। তারপর নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন দেবে। এটাই কি বিএনপির দাবিনামার মর্মার্থ? বিএনপির বিবেচনায় অবৈধ সরকারই যদি সবকিছু করে দেয় তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কী করবে? বিষয়টি এত সহজ-সরল নয়। আমি মনে করি, ১০ দফার আড়ালে আছে এক-এগারোর প্রেতাত্মা। এই ১০ দফা প্রণীত হয়েছে সুশীলদের ড্রয়িং রুম থেকে। বিএনপি যদি শুধু নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইত তাহলে তো তাদের দাবিনামা অন্যরকম হতো। তারা বলতে পারত, সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন করবে ব্যস। ১০ দফায় চার থেকে ১০ পর্যন্ত যা দাবি-দাওয়া করা হয়েছে, তা একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য প্রযোজ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য নয়। বিএনপি আসলে কী চায়? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এ পথটি বের করেছিলেন। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা গ্রহণের ধারাবাহিক অগণতান্ত্রিক চর্চা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনাই ছিল নব্বই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান চেতনা। এর সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। এ সরকার সর্বোচ্চ ৯০ দিন মেয়াদের। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনাই এ সরকারের একমাত্র কাজ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম শর্ত ছিল নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। রুটিন কাজের মধ্যেই দায়িত্ব সীমিত রাখতে হবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সীমা লঙ্ঘন শুরু করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। এ সময়ই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থার আসলে মৃত্যু হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এ ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ এবং অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল তা কোনোক্রমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। ওই সরকার সংবিধানের মূল চেতনায় আঘাত করেছিল। এটি ছিল মূলত কিছু পশ্চিমার সহায়তায় সুশীলদের ক্যু। যেখানে সুশীলরা অনন্তকাল জবাবদিহিহীন অসীম ক্ষমতার মালিক হয়েছিল। সংস্কারের নামে প্রধান লক্ষ্য ছিল রাজনীতি নিঃশেষ করে দেওয়া। রাজনৈতিক সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হয়। রাজনীতিবিদদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করে সুশীল সরকার। গ্রেফতারের পর ওই সব অসত্য অভিযোগ আবার গণমাধ্যমে প্রচার করে বিচারের আগেই রাজনীতিবিদদের অপরাধী বানিয়ে দেওয়ার মিশনে নিপুণ বাস্তবায়ন চলে। এক-এগারো সরকারের দ্বিতীয় লক্ষ্যবস্তু ছিল ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা। তাদের ওপর চড়াও হয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মিশনে নামে সুশীল সমাজ। ব্যবসায়ীদের হয়রানি, বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ চাঁদাবাজি শুরু হয়। শুরু হয় ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন। অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের সম্মান রক্ষায় ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে বিদেশে চলে যান। দেশে অনেকে চরম লাঞ্ছিত-অপমানিত হন। দুই বছরে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকা আদায় করে। এক-এগারো সরকার বিদায়ের পর এই অর্থ আদায়কে অবৈধ ঘোষণা করেন হাই কোর্ট। এই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি আজ অবধি। এক-এগারো সরকার বেসরকারি খাত ধ্বংসের খেলায় মেতে ওঠে। এর ফলে কার্যত দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই ভেঙে পড়ে। শিক্ষাঙ্গন ধ্বংসের মিশনে নেমেছিল মইন ইউ আহমেদ এবং ড. ফখরুদ্দীন সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কোমরে রশি বেঁধে নিয়ে যাওয়ার বর্বরতা প্রত্যক্ষ করে এ দেশের মানুষ। কৃষি, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প সব ক্ষেত্রে সৃষ্টি করা হয় বাধা। নৈরাজ্যের এক শাসন ছিল এক-এগারো। সেখানে গুটিকয় সুশীল এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই ভালো ছিলেন না। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এবং সুশীল সমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশ সংস্কারের নামে দেশটাকেই ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল। বিএনপি কি দেশে আবার সে রকম একটি শাসন চায়? বিএনপির ১০ দফা থেকে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। ১০ দফা আসলে এক-এগারোর সংস্কার প্রস্তাব। ওই সময় সংস্কারপন্থি রাজনীতিবিদ এবং সুশীলদের যেসব কথা বলতেন তারই পরিবর্তিত রূপ এই ১০ দফা। নতুন বোতলে পুরনো মদ। এই ১০ দফা আবার এক-এগারোর শক্তিকে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। ধরা যাক বিএনপির দাবি অনুযায়ী দেশে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলো। এই অনির্বাচিত সরকার এসে বলবে এই যে দেখুন রাজনীতিবিদরা এসব দাবি দিয়েছে। কাজেই আগে জঞ্জাল সরাতে হবে। সময় লাগবে। সুশীলরা বলবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর। গুমের তদন্ত কর। অর্থ পাচারকারীদের তালিকা কর ইত্যাদি। আবার শুরু হবে সেই সংস্কার সংস্কার খেলা। নির্বাচনবিহীন একটি অযোগ্য সরকার দেশ চালাবে বছরের পর বছর। রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন চলবে নির্বিচারে। ব্যবসায়ীদের করা হয় ব্ল্যাকমেলিং, হয়রানি। রাষ্ট্রীয় চাঁদাবাজি ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির করে দেবে। এরকম একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য কি তাহলে বিএনপির এত আয়োজন। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, দেশের সুশীল সমাজের কেউ কেউ এখন বিএনপির চেয়ে বড় বিএনপি। দেশের প্রভাবশালী কয়েকটি গণমাধ্যম এখন বিএনপিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দিচ্ছে। পশ্চিমা কয়েকটি দেশের আগ্রহ ঠিক ২০০৭ সালের মতোই। সেই শক্তিগুলো একত্রিত হয়েছে আবার। বিএনপিকে মাঠে নামিয়ে তারা আরেকটি অনির্বাচিত অধ্যায়ের পটভূমি তৈরি করতে চায়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মৃত্যু হয়েছে। সুশীলরা ২০০৭ সালে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে। এখন ক্ষমতা পেলে তারা কি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে? রুটিন কাজে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে? বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা খুবই নাজুক। তাদের কাছে সরকারপ্রধান হওয়ার কেউ নেই। এ জন্য কি সুশীল আর পশ্চিমাদের ফাঁদে পা দিয়েছে দলটি।  কারণ, এখন বিএনপি যেভাবে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে তারা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, তারা একটি এক-এগারো আনতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ এখন আর সেই অন্ধকার টানেলে প্রবেশ করবে না। কিছুতেই না।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সর্বশেষ খবর
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে