পর্যটন আকর্ষণ বাড়ানো ও নগরীর শ্রীবর্ধনের লক্ষ্যে সিলেটে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল সাতটি ফোয়ারা। সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে এ ফোয়ারাগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। শুরুতে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাগুলো দৃষ্টি কেড়েছিল নগরবাসীর। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে শ্রীবর্ধনের ফোয়ারাগুলো। অনেক স্থানে ফোয়ারার মোটর, যন্ত্রপাতি, স্টিলের বেষ্টনী সবই চুরি হয়ে গেছে। আবার কোথাও ফোয়ারা পরিণত হয়েছে পরিত্যক্ত কূপে। অর্থ সংকট দেখিয়ে ফোয়ারাগুলো পুনরায় চালু করা থেকেও বিরত রয়েছে সিটি করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় সিলেট নগরীর সৌন্দর্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। নগরীর হুমায়ূন রশীদ চত্বর, কুমারপাড়া পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ পুকুরের মধ্যখান, নাইওরপুল পয়েন্ট, বন্দরবাজার হকার্স পয়েন্ট ও ক্বিনব্রিজের নিচে সুরমা নদীর তীরে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। ফোয়ারার চারপাশে এসএস বেষ্টনী দিয়ে লাইটিংয়েরও ব্যবস্থা রাখা হয়। ২০০৬ সালে ১ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে চারটি ফোয়ারা জেলা পরিষদ ও সমান টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশন ৩টি ফোয়ারা নির্মাণ করে। উদ্বোধনের পর জেলা পরিষদ তাদের চারটি ফোয়ারাও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। ফোয়ারাগুলো একসময় নগরীর সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকলেও সংস্কারের অভাবে এখন তা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জনবল, রক্ষণাবেক্ষণ ও অর্থাভাবে ফোয়ারাগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।