নরওয়ের রাজধানী অসলোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে নিরাপত্তা এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত এক নরওয়েজিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির হাতে বুধবার পৌঁছানো একটি আইনি নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করে বিদেশি রাষ্ট্রে সরবরাহ করতেন। এর বিনিময়ে তিনি ইউরো ও বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাশিয়া ও ইরান অথবা উভয় দেশের কাছে মার্কিন কূটনীতিক, দূতাবাস কর্মী এবং তাদের পরিবারের যোগাযোগসংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়েছেন। তিনি দূতাবাসের গাড়ির কূটনৈতিক নম্বরযুক্ত প্লেটের তথ্য, নিরাপত্তা রুটিন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থার কুরিয়ারের তালিকাও হস্তান্তর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নরওয়ের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানায়, এই কর্মকাণ্ড 'গুরুতর অপরাধ' হিসেবে বিবেচিত, কারণ এটি বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে গোপন তথ্য ফাঁসের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৭ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ বিভিন্ন পরিচিতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে লেনদেন গোপন করারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
টিভি২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্তের আইনজীবী ইঙ্গার জাদিগ বলেন, তার মক্কেল নিজের কাজের কথা স্বীকার করলেও আনিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।
প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ২১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন সার্ভিস।
উল্লেখ্য, নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা অতীতেও রাশিয়া, ইরান ও চীনকে দেশটির নিরাপত্তার জন্য প্রধান গুপ্তচর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ন্যাটো সদস্য দেশ নরওয়ের আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে একটি স্থলসীমান্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম