নোয়াখালী পৌর বাজার এলাকায় স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটকে রেখে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে (১৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী জানান, গত শুক্রবার ভোরে সুবর্ণচরে তার বাড়ি থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাগ করে বের হয়ে মাইজদী চলে আসেন তার স্বামী। পরে স্বামীর পেছনে মাইজদী পৌর বাজারে আসেন গৃহবধূ। সকাল ৭টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পৌর বাজারের একটি দোকানের সামনে তর্ক করছিলেন। একপর্যায়ে হানিফসহ দুজন এগিয়ে এসে ছেলেটি কে জানতে চাইলে তিনি স্বামী বলে জানান। তার পরও তারা গৃহবধূর স্বামীকে মারধর শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে তাদের পৌর বাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান। সেখানে হানিফের সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন যুক্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা কক্ষে নিয়ে যান। পরে বিষয়টি স্বামী মোবাইলে তার মাকে জানালে তার মা ও ছোট ভাই ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে থাকা আরও কয়েকজন তার মা ও ছোট ভাইকে একই কক্ষে এনে আটকে রাখেন। পরে তারা পাশের কক্ষে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধর্ষণচেষ্টাকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে লাফ দেন গৃহবধূ। ভুক্তভোগীর শাশুড়ি জানান, চিৎকার শুনে তারা তিনজন জোরপূর্বক বের হয়ে দেখেন গৃহবধূ আহত অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। ওই যুবকরা আবারও তাকে টেনেহিঁচড়ে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাঁ পায়ে রড ঢুকে কেটে এবং ভেঙে গেছে। বিষয়টি তারা পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে জানান এবং পরদিন থানায় মামলা করেন।
আবদুল করিম মুক্তা বলেন, হাসপাতালে গৃহবধূর কাছ থেকে ওই যুবকদের তথ্য নিই। রবিবার বিকালে হানিফ (২৯) ও কামরুলকে (৪৫) দেখতে পেয়ে লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বাকিদের ধরতে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মামলা হয়েছে। দুজনকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দিয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।