পরিসংখ্যানের হিসাবে কোনোভাবেই মেহেদি হাসান মিরাজকে সফল অধিনায়ক বলা যাবে না। ১৩ ম্যাচে মাত্র তিন জয়। টানা চার সিরিজ হারের ধাক্কা সামলে অবশেষে সিরিজ জিতেছেন মিরাজ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মিরাজ। স্পিন অলরাউন্ডার ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ধারাবাহিক। রান করছেন ও উইকেট নিচ্ছেন। কিন্তু দল পরিচালনায় পুরোপুরি সফল নন। ব্যর্থতার মোড়কে ভরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ‘টাই’ হওয়ার পর সুপার ওভারে হেরে যায় বাংলাদেশ। সুপার ওভারে ছন্দে থাকা রিশাদ হোসেনকে ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্তকে এবং স্পিন উইকেটে স্পিনার ব্যবহার না করে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পাঠানোয় চরমভাবে সমালোচিত হন মিরাজ। এরপর থেকে স্পিন অলরাউন্ডারের দল পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গতকাল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবশ্য মিরাজের নেতৃত্বের সমালোচনা গায়ে মাখেননি। তিনি আরও সময় দেওয়ার পক্ষে অধিনায়ক মিরাজকে, ‘আমরা সবাই জানি মিরাজ একজন ক্যাপ্টেন ম্যাটেরিয়াল। ওকে একটু সময় দিতে হবে। খেলায় তো জয়-পরাজয় থাকবেই। অধিনায়কের মধ্যে যে ম্যাচিউরিটি দেখা যায়, বোঝা যায় সেটা তার মধ্যে রয়েছে।’ কিছুদিন আগে একটি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। গতকাল মিডিয়ার মুখোমুখিতে সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান।
ওয়ানডেতে মিরাজের নেতৃত্বের পক্ষেই থাকেন, ‘তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক হতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই।
এর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। অসুবিধার চেয়ে সুবিধাটাই বেশি। তারপর দেখব যারা আছে তাদের মধ্যে কে কাজটা করতে পারবে। একজন দুটি করতে পারে, একজন তিনটিও (তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব) করতে পারে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’ মিরাজ ওয়ানডে অধিনায়ক। টি-২০ অধিনায়ক লিটন দাস। টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ নাজমুল নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চাইছেন। ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন, নাজমুলের জায়গায় নেতৃত্ব পাওয়ার রেসে রয়েছেন লিটন ও তাইজুল ইসলাম।