নাম পরিবর্তন করেছে জুলাই গণ অভ্যুত্থানকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ (বাগছাস)। নতুন নাম ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্ররাজনীতি করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে সংগঠনটির পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি জাতীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংগঠনটির নতুন নাম ঘোষণা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেমন্তী। বিলুপ্ত বাগছাসের ঢাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমিন সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যেহেতু বাগছাস এবং এনসিপি জুলাই গণ অভ্যুত্থানকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং উভয় সংগঠনের আদর্শ এক তাই এনসিপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে নাম পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। এনসিপির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নামের সঙ্গে তাই মিল রেখে জাতীয় ছাত্রশক্তি নামকরণ করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হবে। সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ছাড় দেবে না এনসিপি। যে কোনো মূল্যে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় জুলাই সনদ ইস্যুতে স্বাক্ষর করা নিয়ে দলীয় অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা পেলে তবেই স্বাক্ষর করবে এনসিপি।
দলের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর বাধায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা করা হয়েছে। অপরদিকে দলটির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই সারা দেশের জেলা ও মহানগরে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া শুরু হবে। দলীয়ভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বলেন, ‘মাই ম্যানের পলিটিক্স করবে না এনসিপি। যোগ্য আর পার্টির ওপর বিশ্বস্তদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে দল।’