শুল্ক পরিশোধ করে বারবার দেশে সোনা আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলস সুবিধার পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন থেকে ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় সোনা আনা যাবে বছরে একবার। সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ঘোষণা দিয়ে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি সোনা আনতে পারেন এবং এতে ৪০ হাজার টাকা কর দিতে হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির অনুমতি থাকলেও আমদানির তুলনায় ব্যাগেজ রুলসের আওতায় সোনা আনা তুলনামূলক সাশ্রয়ী। তাই অনেকেই আমদানির বদলে যাত্রীদের মাধ্যমে ব্যাগেজ রুলস ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। এমনকি অনেক চোরাচালানিও এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার ২০১৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানির অনুমতি দিলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সাল থেকে চার বছরে বৈধ চ্যানেলে ১৪৫ কেজি সোনা এসেছে। যা দেশে সোনার বার্ষিক চাহিদার ১ শতাংশেরও কম। তবে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতিদিন শত কেজির বেশি সোনা দেশে প্রবেশ করছে। যা আইনি হলেও আমদানির হিসাব ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকছে।