বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনভাবে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন এবং রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই তারা অগ্রসর হচ্ছে।
পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ধরনের বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। পাশাপাশি, এসব বিষয়ে জনসম্পৃক্ত দাবিও থাকতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি একটি ট্রানজিশন পিরিয়ড। এখন একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। যদি এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জন সম্ভব। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক আগেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা এখন আর বাস চলাচলের উপযোগী নেই। এসব সমস্যার সমাধানে এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। তিনি আরও বলেন, সবকিছুই নির্ভর করে জনগণের ওপর। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব। একাত্তরে তারা সেটি প্রমাণ করেছে, এমনকি ২০২৪ সালেও তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনেক আগেই উপলব্ধি করেছে বিএনপি- এ কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই কারণেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। ‘পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, সাবেক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, ‘পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর হোসেন খান জালাল বক্তব্য রাখেন।