চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নালায় পড়ে শিশু মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে শিশু কখনোই স্বাধীন নয়, নির্ভরশীল। গার্মেন্টস বা অন্য কোনো কর্মস্থলে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে গেলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্মীরই। শিশুকে যদি সামলে রাখা সম্ভব না হয়, তবে গেটকিপার বা অন্য কারও কাছে দায়িত্ব দিতে হবে। চসিক বা অন্য সংস্থার পক্ষে সব শিশুর তদারকি করা সম্ভব নয়। এ দায়িত্ব প্রথমেই পরিবারের, অভিভাবকের। আর সব নালা ঢেকে দেওয়াও সম্ভব নয়। কিছু নালা সার্ভিস লাইন হিসেবে খোলা রাখতে হয়। তবে পাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্ল্যাব বসানো থাকে। গতকাল দুপুরে নগর ভবনে কানাডা সফর শেষে নগরীর সার্বিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অ. দা) মো. ফরহাদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা প্রমুখ।
চসিক মেয়র বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব শুধু চসিকের নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা ডোর-টু-ডোর ময়লা সংগ্রহ প্রকল্প চালু করেছি। প্রতি পরিবার মাসে ৬০ টাকা প্রদান করছে। কানাডার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেখানে ধনী-গরিব সবাই নিজ হাতে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে। আমাদেরও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ৬০ টাকা খরচ করেও যদি শহরকে সুন্দর রাখতে না পারি, সেটা দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে নাগরিক অভিযোগ সমাধানে অ্যাপস চালু করছি খুব শিগগিরই। ‘আমার চট্টগ্রাম’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে নাগরিকরা যে কোনো সমস্যা সরাসরি জানাতে পারবেন এবং আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।