সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। এখনো দেড় মাসের মতো সময় আছে বাংলাদেশের হাতে। অথচ এ সময়টুকু পুরোটাই ফাঁকা লিটন দাসদের আন্তর্জাতিক শিডিউল। কোনো ধরনের ম্যাচ খেলা ছাড়াই টাইগারদের অংশ নিতে হবে টি-২০ এশিয়া কাপে। গ্রুপ পর্বে লিটন বাহিনীর তিন খেলা যথাক্রমে ১১ সেপ্টেম্বর হংকং, ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। যদি সুপার ফোরে ওঠে, তাহলে আরও কয়েকটি ম্যাচ বেশি খেলবে। অবশ্য টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতির জন্য একটি টি-২০ সিরিজ আয়োজনের অনুরোধ জানান বিসিবিকে। টাইগার অধিনায়কের অনুরোধে বিসিবি চেষ্টা করছে একটি টি-২০ সিরিজ আয়োজনে। চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের টি-২০ স্ক্যাজুয়ালে যোগ হবে বাড়তি ম্যাচ। পাকিস্তান সিরিজের পর দেড় মাসের আনুষ্ঠানিক বিশ্রাম থাকলেও ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যস্ত সূচিতে ঠাসা বাংলাদেশের ক্রিকেট। এ সময়ে টাইগাররা একটি এশিয়া কাপ, একটি টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য টাইগাররা কতটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে স্ক্যাজুয়াল অনুযায়ী টি-২০ ম্যাচ খেলবে ২১টি। ওয়ানডে ২৬টি ও টেস্ট খেলবে ১৪টি।
স্ক্যাজুয়াল অনুযায়ী ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ খেলবে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। প্রতিটি দেশের বিপক্ষে সিরিজে টেস্ট খেলবে দুটি করে। সাত সিরিজের মধ্যে দেশের বাইরে খেলবে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলবে ২০২৭ সালের মার্চে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। ২০২৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে, ২০২৬ সালের অক্টোবরে ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলবে। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ভারত সিরিজটি স্থগিত করে। এটা পিছিয়ে নতুন মডিউল অনুযায়ী আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নির্ধারণ করেছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আগামী বছরের আগস্টে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে দেশটির বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবে। আগামী জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দুই টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। একই বছরের জুনে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। একই বছরের মে মাসে নিউজিল্যান্ড তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলতে ঢাকায় আসবে। বাংলাদেশ দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে আগামী বছরের মার্চে পাকিস্তান সফর করবে। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবে বিপিএল খেলে। বিপিএলের সম্ভাব্য তারিখ ডিসেম্বর-জানুয়ারি। যদি সে সময় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বিপিএল পিছিয়ে মেতে যাবে। অবশ্য মেতে নিউজিল্যান্ড খেলতে ঢাকায় আসবে। চলতি বছরের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড দুই টেস্ট ও তিন টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে। অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এশিয়া কাপের পরপরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে তিনটি টি-২০ খেলবে। কিন্তু ভেন্যু কোথায় এখনো নিশ্চিত হয়নি। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ছাড়া ১৩টি সিরিজ খেলবে।