দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে ২৫টি বোয়িং কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। সচিব বলেন, বোয়িংয়ের ব্যবসা সে দেশের সরকার করে না, কোম্পানিগুলো করে। আমরা ২৫টি বোয়িং কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছি। একইভাবে ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি ও ইন্দোনেশিয়া ৫০টি বোয়িং কিনবে। তিনি বলেন, আগে আমাদের ১৪টি অর্ডার ছিল। এখন বাণিজ্যঘাটতি আরও কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচিব বলেন, কেপাসিটি অনুযায়ী সরবরাহ করবে বোয়িং কোম্পানি। সুতরাং তারা অনেক সময় নেবে। এক-দুই বছর লাগবে। পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে তৃতীয় দফায় ২৯ ও ৩০ জুলাই সরাসরি বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৩ জুলাই আমাদের অবস্থানপত্র দিয়েছিলাম। ২৯-৩০ জুলাই সরাসরি বৈঠক হবে ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরের অফিসে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আমিও যাব। সচিব বলেন, আমাদের অবস্থানপত্রের ওই বিষয়গুলো এখানে সরাসরি বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেজন্য সোমবার (আজ) সন্ধ্যায় আমাদের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবে।
ওই বৈঠকে সয়াবিন ও তুলা আমদানি প্রসঙ্গে কিছু উদ্যোগ রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, সয়াবিন যারা বেসরকারিভাবে আমদানি করে, তারা চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের থেকে আনতে। আমরা যখন ইউএসটিআর-এর সঙ্গে বসব, তখন বেসরকারি আমদানিকারকরা ওই দেশের সয়াবিন রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আশা করছি, তাদের মধ্যেও একটি সমঝোতা হবে। এ ছাড়া তুলা আমদানির বিষয়ে আগেই চূড়ান্ত হয়েছে। তিন বছর আগে আমরা ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করতাম। সেটি এখন কমে গেছে। আবারও বাড়িয়ে আগের অবস্থায় নিতে পারলে ১ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।