গাজীপুরের টঙ্গী চেরাগআলী যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় কর্মরত ১১৬ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত কলকারখানা অধিদপ্তরে গিয়ে তিন দফা দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর কারখানার পাশে মা-টাওয়ার ও ড্রেসম্যান কারখানায় হামলা চালান এবং ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে ১১৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেন। ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে গতকাল ও আজ (বৃহস্পতিবার) কর্তৃপক্ষ দুই দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল কারখানায় সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। কলকারখানা অধিদপ্তরে গিয়ে আগামী ঈদবোনাসসহ তিন দফা দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শ্রমিকদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ অহেতুক অভিযোগ তুলে অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের ছাঁটাই করেছেন। ঈদকে সামনে রেখে এভাবে ছাঁটাই করা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ টঙ্গী জোনের ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে ছাঁটাই করেছেন। শ্রমিকদের আরও দাবি থাকায় ক্ষুব্ধ হন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গাজীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ : গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নিট হরাইজন নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল সকালে প্রায় এক ঘণ্টা সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকরা জানান, সোমবার কারখানার ৪০ জন শ্রমিককে বিনা কারণে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ফেরাতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গতকাল কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের ফেরানোর দাবি জানানোর ফলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। দ্রুত শ্রমিকদের ফেরত নিয়ে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে নিট হরাইজন কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আলোচনার একপর্যায়ে সড়ক ছেড়ে দেন তারা।