বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এমন সিদ্ধান্তের (অফিস আদেশ) কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট। এ-সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদ রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন। ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন ২০ এপ্রিল রিট করেন। গতকাল শুনানি হয়।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুলও দিয়েছেন। রুলে ৯ এপ্রিলের সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডিপ্রধান, এসবিপ্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে ৯ এপ্রিল জারি করা ‘অফিস আদেশ’-এ বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি অনেক। এসব মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করার জন্য বলা হলো।