ঢাকার দুই সিটিতে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর মশক নিধন কার্যক্রম। ফলে এডিস মশার মতো কিউলেক্স মশাও নগরবাসীর বড় যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাত কিংবা দিন সারাক্ষণই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ছোট্ট শিশু বা স্কুলপড়ুয়া খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়েই বেশি বিপাকে অভিভাবকরা। দিনের বেলায়ও কয়েল, স্প্রে ব্যবহার বা মশারি না টানিয়ে কেউই ঘুমানো বা বিশ্রাম নিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার চরম উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ, বিরক্ত নগরবাসী।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, মূল রাজধানীর ১৩৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ৬ বর্গকিলোমিটার জলাশয় রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এসব জলাশয়ের মালিক। সিটি করপোরেশনসহ সব সংস্থার নিজ নিজ জলাশয় পরিষ্কার করার দায়িত্ব থাকলেও কেউই সেটি করছে না। অন্যান্য বছর কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুমের শুরুতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো জলাশয় পরিষ্কার করে থাকে। এবার তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নগরীর সেনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পাঁচ দিন ধরে জ্বর ছেলে ও মেয়ের। ডেঙ্গু হলো কি না এই সন্দেহে ডাক্তার দেখাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে। চারপাশে মশার উৎপাত বাড়ছে, কিন্তু মশা নিধনে কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। আগে কাউন্সিলর ছিলেন, সেখানে অভিযোগ দিতে পেরেছি, এখন সেই সুযোগও নেই। শুধু মনির আর মঞ্জু মিয়ার এলাকা নয়, প্রায় সব পাড়া-মহল্লায় একই অবস্থা। ইফতারি ও সাহরির সময় মানুষ মশার জ্বালায় নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন। কয়েল, স্প্রে ও ইলেকট্রিক ব্যাট ছাড়াও মশারি টানিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা।