মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিতে চান। তবে এই প্রস্তাব নাচক করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালাল বলেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক উপস্থিতি পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখান করা হবে। তার দাবি মতে, তালেবান ক্ষমতা নেয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা আলোচনায় এ বিষয়টি সুরাহা হয়ে গেছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগে দুই দশক ধরে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনারা ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তালেবান ক্ষমতা নেয়ার আগে তড়িঘড়ি করে তাদের হাতে ঘাঁটিটি হস্তান্তর করা হয়। যুক্তরাজ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, এটা তাদের (আফগানদের) দেয়ার কোনো মানেই হয় না।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ২০২০ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২১ সালে জো বাইডেনের আমলের শুরুতে শেষ হয় এই প্রক্রিয়া।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পুনঃরায় আয়ত্তে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। তার দাবি মতে, চীনের আধিপত্য ঠেকাতে এর কোনো বিকল্প নেই।
ব্রিটেন সফরে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, বাগরাম পুনঃরায় নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কারণ হচ্ছে এখানে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা থেকে চীন হয়তো কিছুটা দূরে আছে।
তালেবান কর্মকর্তা জাকির জালাল এক্সে লিখেছেন, ইতিহাস বলছে আফগানিস্তান অন্য কারো সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয়নি। আর এরকম ভবিষ্যত সম্ভাবনাও পুরোপুরি প্রত্যাখান করা হয়েছে। দোহা চুক্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ফায়সালা হয়ে গেছে। তবে অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল