জামালপুরের ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সদর-৫ আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন। জামায়াতে ইসলামী, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের একক প্রার্থী নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যে তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অ্যাডহক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আমার বাংলাদেশ পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা শাখার সভাপতি আবু সায়েম মো. সা-আদাত উল করীম এলাকায় গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিএনপি নেতা হিসেবে নয়, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের একজন কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করি।
দীর্ঘ ১৬ বছর মামলা-হামলা মাথায় নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সম্মুখসারিতে থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন অনেকেই নিজেকে প্রার্থী দাবি করছে। তবে আমি বিশ্বাস করি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীদিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন না। দুর্দিনের বিশ্বস্ত কর্মীকেই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেবেন- এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে রয়েছি।
বিশেষ করে আওয়ামী দুঃশাসনের ১৬টি বছর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্ক। আন্দোলনের দুঃসময়ে তাদের পাশে ছিলাম। এখনো আছি। দুর্দিনের একজন কর্মী হিসেবে বিএনপি অবশ্যই আমার মূল্যায়ন করবে এবং আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি শতভাগ আশাবাদী।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার বলেন, নির্বাচনি সংস্কার ও নির্বাচনি কারচুপি বন্ধে পিআর পদ্ধতির দাবি আমাদের রয়েছে। তারপরও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত। ইতোমধ্যে ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ভোটারদের কী মনোভাব তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ জামায়াতকেই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বেছে নেবে। জামালপুর সদরের ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবে না বলে আমি মহান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখি।