কারো মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, কারও বাবা-মা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। কারও মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। কারও বাবা নেই—পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
এসব মানুষ পুলিশের টিআরসি নিয়োগের ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার পরে যখন তাদের অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়, তাদের অনেকেই চাকরি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজের পরিবারের দুর্দশার কথা তুলে ধরে ১২০ টাকায় চাকরি পাওয়ায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের অনেকেই বক্তব্য দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন এবং তাদের বক্তব্য শুনে উপস্থিত অনেকের চোখের পানি এসে যায়।
শুক্রবার বিকালে রংপুর নগরীর পুলিশ লাইন্সে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে এই আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায়। অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. আবু সায়েম চাকরি প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশে চাকরি করতে হলে শতভাগ সেবামূলক মনোভাব থাকতে হবে। অনেক সময় প্রলোভন আসবে। সেসব প্রলোভনকে এড়িয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ পরীক্ষার সদস্য গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু, ডিআইজি রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রুনা লায়লা। আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান। নিয়োগ ফলাফলে ৪০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। অপেক্ষমান রয়েছেন ৮ জন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল