চলমান এশিয়া কাপের গ্রুপপর্ব আজ শেষ হবে। তবে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে সুপার ফোরের চার দল। ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোন দুটি দল পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে তা জানতে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। যেখানে হেরে বিদায় নিশ্চিত করেছে আফগানরা। তাদের বিদায়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সুপার ফোরে পা রাখে। আর ‘এ’ গ্রুপ থেকে উঠেছে ভারত আর পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল আফগানিস্তান। মাত্র ২২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন মোহাম্মদ নবি। জবাবে ঝড় তোলেন কুশাল মেন্ডিস। ৫২ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে যেন সব আলো কেড়ে নিলেন। সেই সঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করলেন। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
চলতি আসরেও ভালো ক্রিকেট খেলেও বিদায় নিতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। আর তাই চরম হতাশ অধিনায়ক রশিদ খান। শ্রীলংকার বিপক্ষে হারের পর আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে, আমরা অনেক আইসিসি ইভেন্ট এবং এশিয়া কাপ খেলেছি। প্রতিটি টুর্নামেন্টের জন্য আমাদের দুর্দান্ত প্রস্তুতি ছিল। এবারের এশিয়া কাপেও সতীর্থদের কাছ থেকে আমি অনেক বেশি আশা করেছিলাম। সুপার ফোরের আগে এভাবে বিদায় নিতে হবে কল্পনাও করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা সেমিফাইনালে খেলেছি। এবারের এশিয়া কাপে আশা ছিল অন্তত সুপার ফোরে খেলতে পারবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য তা হয়নি। এটা নিয়ে আমাদের আরও ভাবতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে। আমাদের আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে।’
শ্রীলংকা ম্যাচে মোহাম্মদ নবির ব্যাটিং নিয়ে রশিদ খান বলেন, ‘শেষ ওভারের নবি যে কীর্তি গড়েছে তা অবিশ্বাস্য। আমরা যেভাবে ইনিংস শেষ করেছি তা খুবই অসাধারণ। আমরা জানতাম যে এক ওভারে স্পিনার আছে এবং যদি একজন সঠিক ব্যাটসম্যান থাকে, তাহলে আমাদের পক্ষে বড় স্কোর গড়ার সম্ভব।’
লংকান ম্যাচে পরাজয়ের জন্য নিজেদের বোলিংকে দুষছেন রশিদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা ভালো বল করা উচিত ছিল ততটা ভালো বল করতে পারিনি, সে কারণেই আমরা জিততে পারিনি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সব বিভাগে ভালো করতে না পারলে জেতা সম্ভব না। তাছাড়া দুবাইয়ের এই উইকেটে ১৭০-১৮০ রান তাড়া করা সহজ ব্যাপার; সেটি শ্রীলংকা করে দেখিয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম