এক যুগ পরও কাঁটাতারে ঝুলন্ত নিহত কিশোরী ফেলানীর লাশের সেই নির্মম ছবি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নৃশংসতার সাক্ষী হয়ে আছে। বিএসএফের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেনকে (২১) এবার চাকরি দিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)-এর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর আরফান বলেন, ‘ভাবতে পারিনি চাকরি পাব। এটি আমার স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমার চাকরি হওয়ায় কবরে শুয়েও শান্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বোন ফেলানী।’ এ কথা বলেই কেঁদে ওঠেন আরফান। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন।
সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশবিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবির নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর (আজ) তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন।
আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’