এশিয়া কাপে গ্রুপ ‘বি’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতে তুশারার বিধ্বংসী বোলিংয়ে কাঁপে আফগানিস্তান। একসময় ধসে পড়া ব্যাটিং লাইনআপ যেন পুরোপুরি দিশেহারা। তবে সব হিসেব উল্টে দেন মোহাম্মদ নবী। ইনিংসের শেষদিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাটে ভর করেই লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায় আফগানিস্তান। এতে নতুন করে শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তোলে ১৬৯ রান। দলের পক্ষে সবচেয়ে বড় অবদান নবীর। মাত্র ২২ বল খেলে ৬টি ছক্কা ও ২টি চার মেরে ৬০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি।
ইনিংসের শেষ ওভারে দুনিথ ভেল্লালাগের বিরুদ্ধে হাঁকান টানা পাঁচটি ছক্কা। ওই ওভারে আসে ৩০ রান।
অথচ শুরুতে আফগানদের ইনিংসটা ছিল ধ্বংসস্তুপের মতো। লঙ্কান পেসার নুয়ান তুশারা বল হাতে নেমেই তাণ্ডব চালান। ৪ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেন তিনি।
প্রথম দুই ওভারে গুরবাজ ও আতল মিলে তুলেছিলেন ২৬ রান। এরপরই বিপর্যয় তৃতীয় ওভারে তুশারা ফেরান গুরবাজ (৮ বলে ১৪) ও করিম জানাত (৩ বলে ১)। এরপর আতলও (১৪ বলে ১৮) হন তুশারার শিকার। ধীরে ধীরে রানচাপ বাড়তে থাকে। রাসুলি, ওমরজাই, ইব্রাহিম জাদরানরা ব্যর্থ হন বড় ইনিংস খেলতে।
একপর্যায়ে ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা আফগানিস্তান শতরানই পার করতে পারবে কি না, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়। সেই মুহূর্তে দলের হাল ধরেন নবি ও অধিনায়ক রশিদ খান। এই জুটি যোগ করেন ৩৫ রান। রশিদ খান ২৩ বলে ২৪ রান করে তুশারার বলে বোল্ড হন ১৮তম ওভারের প্রথম বলে।
সেখান থেকে একাই ম্যাচের রং পাল্টে দেন নবি। ১৯তম ওভারে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকানোর পর ২০তম ওভারে পরপর পাঁচটি ছক্কা। সব মিলিয়ে শেষ দুই ওভারে আফগানরা তোলে ৪৯ রান!
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তুশারা (৪/১৮)। অন্যদিকে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন চামিরা (১/৫০) ও ভেল্লালাগে (১/৪৯)।
এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি জয় পায়, তাহলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু আফগানিস্তান যদি ম্যাচ জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশের আশা টিকিয়ে রাখতে লঙ্কানদের অলআউট হতে হবে মাত্র ১০১ রানে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা