গত এক সপ্তাহে লন্ডনজুড়ে সহিংসতা ও অপরাধের আশঙ্কাজনক উত্থান জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ছুরি হামলা, গুলি, সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ডে কেঁপে উঠেছে রাজধানী।
৫ জুলাই ভোরে ভক্সহলে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ড্যানিয়েল ম্যানুয়েল। পুলিশ আবদুল করিম ফাওয়াজসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ৬ জুলাই রাতে চিংফোর্ডে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক ছুরিকাহত হয়ে প্রাণ হারান। একইদিন এরিথে দুই নারী ছুরিকাঘাতে আহত হন; ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়।
৭ জুলাই হিলিংডনে তিন যুবক ছুরিকাহত হন, নিসডেনে গুলিবিদ্ধ হন ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং উইলসডেনে দোকানে এক ব্যক্তিকে মুখে ছুরি মেরে আহত করা হয়। এদিকে, বেকটনে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় চালক গুরুতর আহত হয়ে ৫ জুলাই মারা যান। একইদিন ব্রিকস্টনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মে ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত লন্ডনে সহিংস অপরাধ ৩% কমলেও ছুরি সংক্রান্ত অপরাধ ২% বেড়েছে।
এদিকে, টাওয়ার হ্যামলেটস বরোতে জুনে রেকর্ড ৩,৩৪৩টি অপরাধ রিপোর্ট হয়েছে যা পূর্ব লন্ডনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে চুরি, সহিংসতা ও মাদক অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসে মোট ৩ হাজার ৩৪৩টি অপরাধ জুন মাসে রেকর্ড হয়েছে — যা ২০২৫ সালের মধ্যে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধু চুরি সংক্রান্ত অভিযোগই ছিল ১,০০০টি, যা বরোটির মোট অপরাধের ২৯.৯ শতাংশ। চুরির পর সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট এসেছে ব্যক্তির প্রতি সহিংসতায় ৮৯৬টি রিপোর্ট, মাদক সংক্রান্ত অপরাধে– ৩৯৬টি, পাবলিক অর্ডার লঙ্ঘনে ২৪৫টি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, চুরি, মাদক এবং পাবলিক অর্ডার সংক্রান্ত অপরাধ বেড়েছে মে মাসের তুলনায়, তবে সহিংসতার হার ১.৯ শতাংশ কমেছে।
পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম, রেডব্রীজ ও ওয়ালথাম বরোতেও সহিংসতা ও চুরির হার উদ্বেগজনক। পূর্ব লন্ডনের অপরাধের সামগ্রিক হার কিছুটা কমলেও টাওয়ার -এর ঊর্ধ্বগতি প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল