বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, রামপাল, কচুয়া, চিতলমারীসহ জেলার ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার।
টানা বৃষ্টিপাতে ভেসে গেছে জেলার ১ হাজার ৯২টি চিংড়ি ঘের ও মাছের পুকুর। পানিতে তলিয়ে গেছে আউসসহ ১৩৭৬ হেক্টর জমির সবজি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮১.৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাগেরহাট মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণে জেলার রামপাল, মোংলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৯১৫টি চিংড়ি ঘের এবং ১৭৭টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে ২ লাখ চিংড়ি মাছ, ১৩ লাখ চিংড়ি পোনা ও ৫ টন সাদা মাছ ভেসে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, একটানা ভারী বর্ষণে বাগেরহাটের রামপাল, মোংলা ও সদর উপজেলার চিংড়ি ঘের ও সাদা মাছের পুকুর ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার চিংড়ি ঘের এবং পুকুর ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ভারী বর্ষণে ধান ও সবজিসহ জেলার ১৩৭৬ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে আউস ধান ১০৭৪ হেক্টর, বিজতলা ২৫৩ হেক্টর, পান ৯ হেক্টর এবং মরিচ, কলা, আখসহ বিভিন্ন সবজির ৪০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণে জেলার ১৩৭৬ হেক্টর জমির ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, একটানা ভারী বর্ষণে জেলার অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য জেলার ৯টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল