তানজানিয়ায় মারবার্গ ভাইরাসের নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজধানী দোদোমা থেকে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২৩ সালের পর এটি দেশটির দ্বিতীয় মারবার্গ প্রাদুর্ভাব।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জন সন্দেহজনক রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হলে, এর মধ্যে একজনের শরীরে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাগেরা অঞ্চলে শনাক্ত করা হয়েছে, যা উগান্ডা ও রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী এলাকা।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন মারবার্গ প্রাদুর্ভাবে তানজানিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট হাসান জানিয়েছেন, এই মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয় এবং সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে।
প্রেসিডেন্ট হাসান বলেন, আমরা আগেও এমন প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করেছি এবং এবারও তা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবো। ২০২৩ সালে কাগেরা অঞ্চলে প্রথম মারবার্গ প্রাদুর্ভাবের সময় ৯ জন আক্রান্ত হন, যার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু ঘটে।
ডব্লিউএইচও-এর প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রিয়াসুস তানজানিয়া সফরকালে জানিয়েছেন, সংস্থাটি এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে তানজানিয়া সরকারের পাশে থাকবে। ইতোমধ্যে দেশটি রোগ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা উন্নত করেছে, চিকিৎসা কেন্দ্র ও মোবাইল ল্যাব স্থাপন করেছে এবং জাতীয় প্রতিরোধ দল মোতায়েন করেছে।
ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মারবার্গ ভাইরাসের ঝুঁকি কম এবং তানজানিয়া সরকারের শক্তিশালী প্রস্তুতি বিবেচনায় দেশটির বাণিজ্য বা ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
মারবার্গ ভাইরাস একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা ফল-খেকো বাদুড় থেকে ছড়ায়। ইবোলা ভাইরাসের মতোই, এটি রক্তক্ষরণ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ভাইরাসটির মৃত্যুহার প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল