শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ আপডেট: ০২:২৪, শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের দেড় ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক, রোজার আগে ভোটে সম্মতি, গণহত্যার বিচার ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ, সংস্কার, দুই পক্ষই বলল ফলপ্রসূ, ইউনূসকে বই-কলম উপহার
শফিউল আলম দোলন, ঢাকা ও আ স ম মাসুম, লন্ডন
প্রিন্ট ভার্সন
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে টানা দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে তাঁরা জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণের বিষয়ে ঐকমত্যে আসেন। যা সমগ্র জাতির জন্য এক স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসে। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই দূরীভূত হয়। দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও দেশের আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গণহত্যাসহ অপরাধীদের বিচার এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রম আরও এগিয়ে নেওয়ার ওপরও তাঁরা অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উভয় নেতা। এসব বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি উভয় পক্ষের ঘোষিত সংক্ষিপ্ত যৌথ বিবৃতিতে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একমত পোষণ করে জানান, ‘আমরা উভয় পক্ষই বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট। এমনকি নির্বাচনের পরও আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’ বৈঠকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে তাঁরা জানান।

বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিগগিরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের একটি তারিখ ঘোষণা করবে।

বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজান শুরুর আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি তাঁর মা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করার প্রয়োজন হবে।

তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সময় ও তারিখ প্রসঙ্গে কী আলোচনা হলো, জানতে চান সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্যা কোথায়? এর জবাবে উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা কোনো সমস্যা দেখি না। কেউ দেখলে ভুল দেখছেন। নির্বাচন সম্পর্কে যৌথ বিবৃতিতে আমরা বলে দিয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আমরা আশা করব, শিগগিরই তারা একটা তারিখ ঘোষণা করবে।’

বৈঠকে শুধু নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয়েও কথা হয়েছে, জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটি করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐকমত্য হয়েছি, তা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সংস্কার নিয়ে বর্তমান সরকার যে রূপরেখার তালিকা দিয়েছে সেটি নিয়ে বিএনপি কী ভাবছে? জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, এখানে না বোঝার কোনো কারণ নেই। সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সাহেব, তারেক রহমান সাহেব-সবাই একই কথা বলছেন। যে বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোতেই সংস্কার হবে। সংস্কারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। এমন না যে সব সংস্কার এখনই শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার হবে, নির্বাচনের পরও কিছু সংস্কার অব্যাহত থাকবে।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না। কারণ তারেক রহমান যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। সুতরাং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তিনি সময়মতো নেবেন।’

এপ্রিলের ঘোষিত নির্বাচনি রূপরেখা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরে আসছে কি না, জানতে চাইলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টা সুস্পষ্ট বলা আছে। যদি সব কাজ আমরা সময়মতো করতে পারি, বিচার এবং সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে নিশ্চয় রোজার আগেই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, ‘নিশ্চয়ই উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট। আমরা তো বলছি, শুধু নির্বাচনের আগেই না, নির্বাচনের পরও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। আর সন্তুষ্ট না হলে যৌথ ঘোষণা আসত না।’

এ সময় জুলাই সনদ নিয়ে বৈঠকে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে দেশে। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে এবং সংস্কারের বিষয়েও আমাকে একই উত্তর দিতে হয়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার এবং জুলাই সনদ দুটোই হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি হবে।’

ড. ইউনূসকে বই ও কলম উপহার দিলেন তারেক রহমান
লন্ডনে বৈঠকে ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের দেওয়া উপহার  -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ড. ইউনূসকে বই ও কলম উপহার দিলেন তারেক রহমান : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে দুটি বই ও একটি কলম উপহার দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানিয়েছেন। শফিকুল আলমের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, উপহার দেওয়া দুটি বই হলো তরুণ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের লেখা ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক এ ডিফারেন্স’ এবং মোনা আরশি ও ক্যারেন ম্যাকক্যার্থি উফ সম্পাদিত ‘ন্যাচার ম্যাটার্স’। এ ছাড়া ওয়াটারম্যান ব্র্যান্ডের এক্সপার্ট বলপয়েন্টও প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দেন তারেক রহমান।

বৈঠকের আগে যে আলাপ হলো ড. ইউনূস-তারেক রহমানের : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠকের শুরুতেই উভয়ের মাঝে এক উষ্ণ সৌজন্য কুশল বিনিময় হয়। বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় লন্ডনের পার্ক লেনের হোটেল ডরচেস্টারের বৈঠক রুমে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। তখনই সামনের দিকে হেঁটে এগিয়ে এসে তাঁকে স্বাগত জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে দুজনের মধ্যে হয় একটি আন্তরিক হালকা আলাপচারিতা। হোটেলে প্রবেশ করে তারেক রহমান এগিয়ে এসে প্রথমেই বলেন, ‘কেমন আছেন?’ ড. ইউনূস উত্তরে হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ, ভালো আছি।’ এরপর তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগল।’ তারেক রহমানও সাড়া দিয়ে বলেন, ‘আমারও ভীষণ ভালো লাগছে, আই ফিল অনার্ড। আপনার শরীর ভালো আছে?’ উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘চলছে, টেনেটুনে চলছে।’ তারেক রহমান বলেন, ‘আম্মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন।’ জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ওনাকেও আমার সালাম জানাবেন।’

এ সময় লন্ডনের আবহাওয়া নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকের আবহাওয়াটা খুব ভালো। একটানা এরকম পাওয়াটা দুর্লভ।’ তারেক রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, দুপুর নাগাদ সম্ভবত আরেকটু গরম পড়বে।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘এনজয় করেছি। সামনে পার্ক আছে।’ তারেক রহমান জানতে চান, ‘আপনি গিয়েছিলেন?’ ড. ইউনূস বলেন, ‘হ্যাঁ, গিয়েছিলাম।’ তারেক রহমান বলেন, ‘একটা জিনিস এখানে খুব ভালো, হাঁটার অনেক জায়গা আছে।’ এরপর আরও কিছুক্ষণ সবার সামনে হালকা আলাপচারিতা হয় দুজনের মধ্যে। এর মধ্যে শেষ হয় বৈঠকের ফটোশেসন। তারপরই শুরু হয় দুই শীর্ষনেতার একান্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই সনদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি, ভূমিকা, কার্যক্রমসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিষয়েই দুই নেতার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা একমত পোষণ করে হাস্যোজ্জ্বল অবয়বে সন্তুষ্টচিত্তে বেরিয়ে আসেন আলোচনার কক্ষ থেকে।

ভোর ৬টা থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের হোটেল ডরচেস্টারের সামনে ছিল অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীর অবস্থান। তাঁদের চোখমুখে ছিল একটি সফল বৈঠকের দৃঢ় প্রত্যাশা। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিট। ঝলমলে রোদের ভিতরে ধীরগতিতে সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেনের ডরচেস্টার হোটেল চত্বরে প্রবেশ করে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িটি। চালকের আসনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইউরোপ সমন্বয়কারী কামাল উদ্দিন। পাশে তারেক রহমান। পেছনের সিটে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান সানি। মুহুর্মুহু করতালি আর হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের গাড়ি এসে দাঁড়ায় হোটেলের সামনে। হাত নাড়ছিলেন নেতাকর্মীদের দিকে। তারেক রহমান নেতাকর্মীদের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়ে গাড়ি থেকে নামেন। হোটেলের লবির দিকে না গিয়ে ফিরে এলেন আবারও রাস্তার দিকে। রাস্তার পাশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দিকে আবারও হাত নেড়ে তারপর ভিতরে গেলেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরাও তার জবাব দেন স্লোগানে স্লোগানে। হোটেলের প্রবেশমুখে সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসে বিএনপির কান্ডারি তারেক রহমান এবং তাঁর সঙ্গী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অভ্যর্থনা জানান। সভাকক্ষের ভিতরে তারেক রহমানকে নিজের আসন থেকে উঠে এসে অভ্যর্থনা জানান স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথমে কুশলবিনিময়, তারপর বৈঠকের সঙ্গী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইউরোপ সমন্বয়কারী কামাল উদ্দিন, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান সানির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করানো হয়। এরপরই শুরু হয় দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির মধ্যে রুদ্ধদ্বার একান্ত বৈঠক। প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয় সেই বৈঠক। তারেক রহমান বের হয়ে আসেন লন্ডন সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে। হাস্যোজ্জ্বল তারেক রহমান হাত নাড়লেন বাইরে উপস্থিত সবার দিকে! তাঁর হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে দেওয়া একটি যৌথ (লিখিত) বিবৃতি পাঠ করে শোনান উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা : যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমান আগামী বছরের রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন। প্রধান উপদেষ্টা জানান, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা তিনি আগেই দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তিনি গণহত্যার বিচার ও সংস্কারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জনের ওপর জোর দেন। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান।

সংস্কার ও জুলাই সনদ : এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কার ও জুলাই সনদ দুটোই ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, যেখানে ঐকমত্য হবে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে-এটা স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে কিছু হবে, কিছু পরেও হবে।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে : তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘এটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি যখন ইচ্ছা ফিরতে পারেন। আলোচনার এমন কোনো প্রয়োজনীয়তা আমরা অনুভব করিনি।’

বিচার ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট : প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে চান, এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘সংস্কার ও বিচার-দুই ক্ষেত্রেই নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

এনসিপি ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার : নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির নির্বাচন কমিশন সংস্কার না হলে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘এটি আলোচনার প্রসঙ্গ নয়।’ খলিলুর রহমান যোগ করেন, ‘প্রত্যেক দলের নিজস্ব মতামত আছে, তবে আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই।’

শেষে একসঙ্গে সন্তুষ্টির ঘোষণা : আপনারা কি এই বৈঠকে সন্তুষ্ট? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একসঙ্গে উত্তর দেন, ‘নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট।’ আমীর খসরু আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরও আমরা একসঙ্গে কাজ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।’ খলিলুর রহমানের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ছিল, ‘সন্তুষ্ট না হলে তো যৌথ ঘোষণা আসার প্রশ্নই ওঠে না।’

এই বিভাগের আরও খবর
তিন মাসে শোকজ পেলেন চার এনসিপি নেতা
তিন মাসে শোকজ পেলেন চার এনসিপি নেতা
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় জার্মানি
বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় জার্মানি
তেহরান থেকে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন বাংলাদেশিরা
তেহরান থেকে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন বাংলাদেশিরা
সরকারি সেবায় ঘুষ-দুর্নীতির শিকার ৩২ শতাংশ নাগরিক
সরকারি সেবায় ঘুষ-দুর্নীতির শিকার ৩২ শতাংশ নাগরিক
মিলেছে ২৫৩ গুমের অকাট্য প্রমাণ
মিলেছে ২৫৩ গুমের অকাট্য প্রমাণ
ভোটে থাকছে না পোস্টার
ভোটে থাকছে না পোস্টার
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
তৃতীয় দিনেও এগিয়ে বাংলাদেশ
তৃতীয় দিনেও এগিয়ে বাংলাদেশ
অডিও ফাঁসে নড়বড়ে গদি থাই প্রধানমন্ত্রীর
অডিও ফাঁসে নড়বড়ে গদি থাই প্রধানমন্ত্রীর
বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
পুলিশকে মারধর করে পালালেন হত্যার আসামি
পুলিশকে মারধর করে পালালেন হত্যার আসামি
সর্বশেষ খবর
'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'
'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা
ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন
আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস চলতে পারবে না, প্রজ্ঞাপন জারি
২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস চলতে পারবে না, প্রজ্ঞাপন জারি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম
বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার
কক্সবাজারে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেনী সীমান্তে ১১ জনকে বিএসএফের পুশইন, নজরদারি জোরদার
ফেনী সীমান্তে ১১ জনকে বিএসএফের পুশইন, নজরদারি জোরদার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রায় সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ
প্রায় সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আড়িয়াল বিলের সব অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার
আড়িয়াল বিলের সব অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আহত পুলিশ সদস্যদের শয্যাপাশে আইজিপি
আহত পুলিশ সদস্যদের শয্যাপাশে আইজিপি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর: স্মরণীয় আয়োজনে অভিষেক দলের সংবর্ধনা
টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর: স্মরণীয় আয়োজনে অভিষেক দলের সংবর্ধনা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরগুনায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন
বরগুনায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ৮ লাখ ২৬ হাজার নকল
ব্যান্ডরোলসহ ৪ জন গ্রেফতার
বগুড়ায় ৮ লাখ ২৬ হাজার নকল ব্যান্ডরোলসহ ৪ জন গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলে অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগ, পুনঃনিরীক্ষার দাবি
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলে অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগ, পুনঃনিরীক্ষার দাবি

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প
আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের মামলায় সাবেক 
এমপি নুর মোহাম্মদ জেলহাজতে
দুদকের মামলায় সাবেক  এমপি নুর মোহাম্মদ জেলহাজতে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না: এবি পার্টি
ভালো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না: এবি পার্টি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গলে শ্রীলঙ্কার বড় জুটি, বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা
গলে শ্রীলঙ্কার বড় জুটি, বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা অনুযায়ী বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে : প্রিন্স
গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা অনুযায়ী বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে : প্রিন্স

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে
দেশের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনে বিএনপি রাতে আওয়ামী লীগ করেছে তাদের সদস্য পদ নবায়ন হবে না: আমিনুল
দিনে বিএনপি রাতে আওয়ামী লীগ করেছে তাদের সদস্য পদ নবায়ন হবে না: আমিনুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি
যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থের বিনিময়ে নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ৩ সদস্য আটক
অর্থের বিনিময়ে নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ৩ সদস্য আটক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে: মঈন খান
জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে: মঈন খান

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
হঠাৎ তেহরান থেকে ওমানে তিন বিমান
হঠাৎ তেহরান থেকে ওমানে তিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন ট্রাম্পের
ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন ট্রাম্পের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!
চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার : উত্তর কোরিয়া
ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার : উত্তর কোরিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি
ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল
সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের
এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি
যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানে কোনো যুদ্ধ নয়’, হোয়াইট হাউসের সামনে মার্কিনিদের বিক্ষোভ
‘ইরানে কোনো যুদ্ধ নয়’, হোয়াইট হাউসের সামনে মার্কিনিদের বিক্ষোভ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় ভাঙেনি ইরান, উল্টো বাড়ছে জাতীয় ঐক্য
ইসরায়েলের হামলায় ভাঙেনি ইরান, উল্টো বাড়ছে জাতীয় ঐক্য

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিন্দা উত্তর কোরিয়ার
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিন্দা উত্তর কোরিয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প
আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী
অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি
আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি
ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০
ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ
ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী
৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল
ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা
লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক
ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির
ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা
সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব
জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব

প্রথম পৃষ্ঠা

এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে
এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে

নগর জীবন

সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না
সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত
ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত

মাঠে ময়দানে

জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প
জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প

মাঠে ময়দানে

গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক
গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা
আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত
ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত

মাঠে ময়দানে

আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স
আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল
আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথম পৃষ্ঠা

পারবেন কি সোনা জিততে
পারবেন কি সোনা জিততে

মাঠে ময়দানে

স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন
স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন

পেছনের পৃষ্ঠা

টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

অলিভিয়া কেন অন্তরালে
অলিভিয়া কেন অন্তরালে

শোবিজ

ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার
ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার

দেশগ্রাম

৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন
৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামায় মিথ্যে প্রেমের গল্প
ক্যাপিটাল ড্রামায় মিথ্যে প্রেমের গল্প

শোবিজ

রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু
রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু

শোবিজ

সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া
সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া

শোবিজ

ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তান একই গ্রুপে
বাংলাদেশ-পাকিস্তান একই গ্রুপে

মাঠে ময়দানে

সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক
সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক

পূর্ব-পশ্চিম

জোবেদা খানমের কুলখানি আজ
জোবেদা খানমের কুলখানি আজ

নগর জীবন

ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের ক্যানসার : উ. কোরিয়া
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের ক্যানসার : উ. কোরিয়া

পূর্ব-পশ্চিম