ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে এ অভিযান চালায়। এ সময় প্রায় ২ একর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা বাংলোবাড়ির সীমানাপ্রাচীর ও ভিতরের ভবন ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান ও কেরানীগঞ্জ থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন। মূলত কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার হাসনাবাদ, দোলেশ্বর, কাটুরাইলে অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। যেখানে অবৈধ দখলকারীরা নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলে। জানা গেছে, নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ এ অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, এটি শুধু একটি অবৈধ স্থাপনা নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় কীভাবে নদীর সম্পদ দখল হয়েছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রশাসনের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে- আইনের শাসনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসন কোনো ছাড় দেবে না।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু নদীতেও একযোগে অবৈধ দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, ভরাট জমি পুনরুদ্ধার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সবকিছুই একই প্রক্রিয়ার অংশ। ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু নদীর সীমানা পিলার রক্ষা ও নদীর জায়গা দখলমুক্ত রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যত শক্তিশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই হোক, নদীর জমি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতে পারবে না।