ভারত একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে- যাতে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা ৩০ দিনের বেশি জেলে আটক থাকলে তারা তাদের পদ থেকে বরখাস্ত হবেন। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত আইনটি উত্থাপন করেন। এই আইনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচারের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আগামী নভেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশনে এটি পার্লামেন্টে পেশ করা হবে।
প্রস্তাবত এ আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো মন্ত্রী ৩০ দিনের বেশি জেলে আটক থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীকে বরখাস্ত করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ৩০ দিনের বেশি আটক হলে ৩১ দিনের মাথায় তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। তার আগে তাকে পদত্যাগ করার সুযোগ দেওয়া হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করেন তখন রাষ্ট্রপতি বরখাস্ত করবেন। জানা গেছে, এই আইনের জন্য ভারতের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সংসদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। সংবিধানের ৭৫ ধারায় ৫(ক) ধারা যুক্ত হবে। বর্তমানে ভারতে নিয়ম রয়েছে, যদি কোনো সংসদ সদস্যের দুই বছরের জেল হয়, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ আপনা আপনিই খারিজ হবে। যেমনটি রাহুল গান্ধী এবং বিহারের লালু প্রসাদ যাদবের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এদিকে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কংগ্রেস দলের ভিন্নমত রয়েছে। দলটির মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশে অনেক সময় শাসক দল বিরোধীদের দুর্নীতির অভিযোগে আটক করেন। যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সরেনকে আটক করা হয়েছিল।