সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্ট ১৩৭ জন জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি পাথর লুট বন্ধে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে এ তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদন দাখিল করেন কমিটির প্রধান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বিদায়ী সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
তিনি জানান, সাদাপাথর লুটের সাথে জড়িত ১৩৭ জনের নাম প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আর আগামীতে পাথর লুট বন্ধে ১০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
৭ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে যে ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জের সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার। তাকে কমিটিতে রাখায় সমালোচনার ঝড় উঠে।
কারণ, পাথর লুটকারীদের তিনি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং অনেকের ধারণা, তাদের সঙ্গে তারও যোগসাজশ ছিল। কমিটি ১৭ আগস্ট রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও পরে আরও তিনদিন সময় বাড়ানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত