আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দুই বিচারক এবং দু’জন প্রসিকিউটরের ওপর নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘নিরপেক্ষ বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট আক্রমণ’ বলে নিন্দা করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, আইসিসির চার কর্মকর্তা আমেরিকান এবং ইসরায়েলিদের বিচারের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নিষেধাজ্ঞার ফলে মার্কিন এখতিয়ারে লক্ষ্যবস্তুদের যেকোনও সম্পদ জব্দ করা হবে।
এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এবং আরও চারজন ট্রাইব্যুনাল বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বুধবার নতুন করে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা হলেন- আইসিসির বিচারক কানাডার কিম্বার্লি প্রোস্ট এবং ফ্রান্সের নিকোলাস গিলো, ফিজির প্রসিকিউটর নাজাত শামীম খান এবং সেনেগালের মামে মান্দিয়ায়ে নিয়াং।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই ব্যক্তিরা বিদেশি ব্যক্তি যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের নাগরিকদের আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তদন্ত, গ্রেফতার, আটক বা বিচারের প্রচেষ্টায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেছেন, প্রশাসন ‘আমাদের সেনা, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের মিত্রদের আইসিসির অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনও পদক্ষেপ গ্রহণ’ অব্যাহত রাখবে।
একটি পৃথক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কর্মীদের ওপর আইসিসির তদন্তের অনুমোদন দেওয়ার রায়ের জন্য প্রোস্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুমোদন দেওয়ার রায়ের জন্য গিলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ