পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার নিয়ে প্রায় এক হাজার ৪৬ কিলোমিটার নৌপথ ঘুরেছে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া পাঁচ কুমির। তবে লবণাক্ততার কারণে স্যাটেলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে বন বিভাগের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কুমিরগুলো এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছে-জানা যায়নি।
সুন্দরবনে কুমিরের জীবনাচরণ, অধিক্ষেত্র, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা পেতে গত বছরের ১৩ মার্চ প্রথমবার দুটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো হয়। পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট লাগিয়ে সুন্দরবনের খালে ছাড়া হয়েছিল।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল জানান, কুমিরের জীবনাচরণ কেমন, কত জায়গা নিয়ে তারা ঘোরাফেরা করে, কতদূর পর্যন্ত বিচরণ করে, এক জায়গায় কত সময় থাকে, সুন্দরবনের বাইরে যায় কি না-এসব নিয়ে আমাদের ধারণা নেই। মূলত এসব বিষয়ে জানতেই এ গবেষণার সিদ্ধান্ত হয়।
নির্মল কুমার পাল বলেন, এ গবেষণাকাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আইইউসিএনের বাংলাদেশ দল। তাদের সহযোগিতা করছে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। আইইউএসএনের ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্য মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
নির্মল কুমার পাল বলেন, গবেষণার সুবিধার জন্য পাঁচটি কুমির সংগ্রহ করে আলাদা নাম দেওয়া হয়-জুলিয়েট, মধু, পুটিয়া, জোংড়া ও হারবারিয়া। এরমধ্যে জুলিয়েট, মধু, পুটিয়া ছিল স্ত্রী কুমির। হারবারিয়া ও জোংড়া পুরুষ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই