মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ যাবৎ আশ্রয় নেওয়া তেরো লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুরুতর মানবিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক ও নিরাপত্তাসংকট তৈরি করেছে। এদের নিয়ে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্যোগ প্রচেষ্টা, কূটনৈতিক তৎপরতা বিস্তর থাকলেও-কার্যকর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়। এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাদের নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। জাতিসংঘের রোহিঙ্গাবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিজে এসে দেখে গেছেন রোহিঙ্গা শিবির। আশা করা যায়, একটা সমাধান-ফর্মুলা নিশ্চয়ই বের হবে। কিন্তু এদের নিয়ে যে সমস্যাটা বর্তমানে বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ ঘটাচ্ছে, তা হলো-নিত্য নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ড, খুনখারাবি ছাড়াও বিভিন্ন রকম মাদকের দুর্গ হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। অধুনা তারা সেখানে শুরু করেছে মাদক বেচাকেনার ভয়ংকর এক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ক্যাম্পে মাদক বেচাকেনা হলেও অর্থ লেনদেন হয় তৃতীয় কোনো দেশে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা সাগরপথে মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড পাড়ি দেওয়া রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চলছে এ প্রক্রিয়া। মাদক-মাফিয়া ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়নের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে এটা। এ নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিস্তর মাদক বেচাকেনা হলেও তার টাকা বিভিন্ন দেশে গ্রহণ করা হয়-এমন তথ্য তাদের হাতে এসেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো ভূমিকার কারণে মাফিয়ারা লেনদেনের এই বিকল্প পথ ধরেছে। এ কাজে তারা ক্যাম্পেই শক্তিশালী হুন্ডি-চেইনও গড়ে তুলেছে। দ্রুত এদের এই অপতৎপরতা থামাতে হবে। রোহিঙ্গা দুবর্ৃৃত্তদের হাজারটা অপকর্মে শুধু দেশেই সামাজিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে না, তাদের মাদকের বাণিজ্য বিস্তৃত হচ্ছে অন্যান্য দেশেও। এতে ইমেজ সংকটের হুমকি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। এদের আর বাড়তে দেওয়া চলে না। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অপরাধ-অপকর্ম বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সব অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে। চিরুনি অভিযান চালিয়ে শক্ত হাতে নির্মূল করতে হবে সব দুর্বৃৃত্ত চক্র। এটা এখন খুবই জরুরি।
শিরোনাম
- টেক্সাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু
- গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)
- খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
- ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
- হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
- পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
- দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
- চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
- ‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
- ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
- মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
- হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত
- টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা
- ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
- ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি
- খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
- রাজশাহীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
- ঝড়ের শঙ্কায় চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
নির্মূলে সমন্বিত শক্ত পদক্ষেপ চাই
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর