ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের বছর পেরোল।
রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বলেছেন, বীরের রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায় যে কোনো মূল্যে তা নিশ্চিত করতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে একই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, বিএনপি জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়। বস্তুত চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের সামনে একটা সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জবাবদিহিমূলক, ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের অমূল্য প্রাণ, ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানি এবং সাড়ে ৭ কোটি মানুষের ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জাতি কোনোদিন ভোলার প্রশ্ন ওঠে না। একইভাবে জুলাই বিপ্লবের দেড় হাজার শহীদ, দামে কেনা স্বাধীনতা। অর্ধলাখ আহত মানুষের অনেকেরই অঙ্গহানি, স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণের ত্যাগ অপূরণীয়। শহীদ পরিবার এবং আহতদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব অসীম। সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতনে জাতি লাভ করেছে নতুন বাংলাদেশ। স্বৈর সরকার রাষ্ট্র্রের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল। অনিয়ম-অনাচার, দুর্নীতি-দুঃশাসনের চূড়ান্ত করে, লাখ লাখ কোটি টাকা চুরি ও পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দোরগোড়ায় ঠেলে দিয়েছিল। এখন জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সাম্য, সম্প্রীতি, মানবিক মর্যাদার এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ বারবার আসবে না। ফলে এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা জাতির পবিত্র কর্তব্য। তার জন্য চাই জাতীয় ঐক্য। সব ষড়যন্ত্র, শত বাধা-বিপত্তি ঐক্যের দৃঢ়তার মোকাবিলা করে গড়তে হবে নতুন বাংলাদেশ।