প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে শুক্রবার স্বাগত জানিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে আফগান জনগণের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার অঙ্গীকার করেছে দেশটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক ভাবে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে চীন সর্বদা বিশ্বাস করে, আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বাদ দেওয়া উচিৎ নয়।’
যদিও চীন এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে বেইজিং-এ তারা তালেবান রাষ্ট্রদূত রেখেছে। চীন জানিয়েছে, পূর্ণ কূটনৈতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আগে তালেবান সরকারকে রাজনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা উন্নয়ন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হবে।
তবে শুক্রবার মাও বলেন, ‘ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও, চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে ও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।’
২০২১ সালে আফগানিস্তানের বৈদেশিক মদদের সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তালেবান। এর পর থেকেই আফগানিস্তানে কঠোর ইসলামিক আইন জারি করেছে তারা। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সালের সোভিয়েত আগ্রাসন থেকে চার দশকের যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী দেশটির তালেবান সরকার।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ