রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ফলের বাজার এখন আমে ভরপুর। কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শাহবাগসহ সব জায়গায়ই দেখা মিলছে আমের। তবে সরবরাহ বেশি হলেও আমের দাম কমছে না।
মালিবাগ বাজারে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে বসা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবহন, সংরক্ষণসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমানো যাচ্ছে না। আমের চাহিদাও অনেক বেশি। মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নামে এক ক্রেতা বলেন, টেলিভিশনে বলা হচ্ছে এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে ভালো আম পাওয়া যাচ্ছে না। আম ব্যবসায়ীরা জানান, জুন ও জুলাই মাসে বাজারে আম বেশি থাকে। তবে পরিবহন ব্যয়, সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাবের কারণে আমের দাম কমানো যাচ্ছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর অঞ্চলে অতিরিক্ত গরমের কারণে এ বছর আম একসঙ্গে পেকে গেছে, ফলে সংরক্ষণ ও বিপণনে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। তা ছাড়া চাষিদের কাছ থেকে আম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন, যার চাপ পড়ছে শেষ পর্যন্ত সাধারণ ভোক্তার ওপর। কারওয়ান বাজারের একজন আম বিক্রেতা বলেন, আমরা প্রতি কেজি আমে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। এবারে ফলন ভালো হলেও খরচ বেশি, তাই দাম কমানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। গোপালভোগ, ফজলি ও হিমসাগরের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, এবার আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেশি। দাম কিছুটা বেশি হলেও সেটি মানসম্পন্ন আমের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক।