কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে দান করা যাবে। দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে ‘পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স’-এর অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট (www.paglamosque.org)।
শুক্রবার বেলা ১১টায় মসজিদ প্রাঙ্গণে নতুন এই ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।
উদ্বোধনের পর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ ব্যবহার করে পাগলা মসজিদে ৫ হাজার ৪০০ টাকা দান করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র। অনেকেই দান করতে চাইলেও নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের অভাবে করতে পারছিলেন না। মানুষ যেন প্রতারিত না হয় এবং ঘরে বসেই নিরাপদে দান করতে পারে-এই উদ্দেশ্যে এই অনলাইন ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, আগ্রহীরা এখন থেকে www.paglamosque.org ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে সহজেই দান করতে পারবেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমপার্শ্বে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করেন। মানুষের দানে উপচে পড়ে মসজিদের দানসিন্দুকগুলো। প্রতিবার দানসিন্দুকগুলো খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। মসজিদটিতে দিন দিনই বাড়ছে দানের পরিমাণ। নগদ টাকা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিসও দান করে থাকেন অনেকে। নগদ টাকা ছাড়া বাকিগুলো প্রতিদিন আসরের নামাজের পর খোলা ডাকে বিক্রি করা হয়।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের অন্যতম বড় এই মসজিদে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ দান আসে। সেই অর্থ সমাজসেবা, দুস্থদের সহায়তা এবং ধর্মীয় কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত