গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক হামাস কর্মকর্তা জানান, হামাসের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক, যা যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে সহজতর করতে পারে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক হামাস কর্মকর্তা বলেন, আমরা কাতার ও মিশরকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমাদের জবাব দিয়ে দিয়েছি। হামাসের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। আমি মনে করি বিষয়টি চুক্তি অর্জনে সাহায্য করবে।
এর আগে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে এক চূড়ান্ত প্রস্তাব ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা ছিল।
ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, ইসরায়েল ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এই সময়ে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের প্রচেষ্টা চলবে।
এছাড়া, শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানব হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিচ্ছে কিনা।আমরা চাই যুদ্ধবিরতি হোক এবং বন্দিদের মুক্ত করা হোক। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে কিছু একটা হবে।
তবে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বারবার বলে আসছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। তবে, এমন শর্ত এখনও মানতে রাজি হয়নি হামাস।
এদিকে, আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। সেখানে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে পারেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের জিম্মিদশায় এখনো ২০ জন ইসরায়েলি বন্দি জীবিত রয়েছে। শুক্রবারও তেল আবিবে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনরা মার্কিন স্বাধীনতা দিবসে তাদের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে। ট্রাম্পকে বন্দিদের মুক্ত করার জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
প্রায় দুই দশক ধরে গাজা শাসন করছে হামাস। কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের কাছে গাজার বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা।
প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং প্রচণ্ড খাদ্য সংকটে রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।
সূত্র : রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কেএ