নেত্রকোনায় পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য দুহাজাহান ও নুর মোহাম্মদ নিহত হওয়ার চারদিন পর নিহতদের স্বজনরা পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে মোট ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, নিহত সাবেক ইউপি সদস্য দুহাজাহানের স্ত্রী একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জসুমা খাতুন বাদী হয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আমজাতের ছেলে তামিম ইকবাল (২৮)-কে প্রধান আসামি করে এজাহারনামীয় ২৮ জনসহ আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে নিহত নুর মোহাম্মদের আহত পিতা মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে, নিহত দুহাজাহানের সাথে থাকা মোটরসাইকেল চালক মো. মাতু মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট শনিবার জেলা বিএনপির সম্মেলন শেষে সাবেক ইউপি সদস্য দুহাজাহান মোটরসাইকেল চালক মাতু মিয়ার সঙ্গে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মৌগাতি ইউনিয়নের জামাটি গ্রামে ডাক্তার নবী হোসেনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে এবং লাশ সড়কের পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
এদিকে অক্ষত থাকা চালক মাতু মিয়া পরবর্তীতে সমর্থকদের নিয়ে নিহত নুর মোহাম্মদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে নুর মোহাম্মদসহ তার মা, বাবা, চাচা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর নুর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মা ও চাচাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে দুহাজাহান ও নুর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে রবিবার তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
দুই খুনের ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং জড়িতরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক