গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গ্রামের মো: রুবেল (৩২) প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের চাঁন মিয়ার একমাত্র ছেলে। এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে কাপাসিয়া থানায় ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রুবেল কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গুচ্ছগ্রামে তার বসত বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে এগারটার দিকে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী তার ঘরে ঢুকে এলোপাথারি পিটাতে থাকে। এ সময় রুবেলের স্ত্রী রোকসানা, মা ফাতেমা ও ছেলে নয়ন বাধা দিলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে তাকে দ্রæত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
রুবেলের মা ফাতেমা জানান, অসহায় নাতি ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে এখন কীভাবে তার সংসার চলবে তা জানেন না। সংসারে উপার্জনকারী একমাত্র ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কাপাসিয়া থানার ওসি মুহম্মদ আবদুল বারিক জানান, এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা (নং-২৬/০৪.২৫) দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামী জিহাদ হোসেন মুন্না ওরফে মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে মারধরের এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম